ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অবরোধে সহিংসতার দায়ভার খালেদারই ॥ আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৯ জানুয়ারি ২০১৫

অবরোধে সহিংসতার দায়ভার খালেদারই ॥ আওয়ামী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ দলের অবরোধে সহিংসতার দায়ভার খালেদা জিয়াকেই নিতে হবে বলে দাবি করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা। তাঁরা বলেন, সঠিক পথে আন্দোলন করার ক্ষমতা খালেদা জিয়ার নেই। বিশেষ পরিবেশ সৃষ্টি করে তিনি তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চান। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলের নেতারা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক যৌথসভায় বক্তৃতা করছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবরোধবিরোধী অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তৃতা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। জাতীয় প্রেসক্লাবের কানফারেন্স লাউঞ্জে গণতন্ত্র রক্ষা পরিষদ আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসীদের দল। পাঁচ জানুয়ারি ও চলমান অবরোধ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সকল সহিংসতার দায়ভার বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকেই নিতে হবে। তারেক রহমানকে একজন সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, হাইকোর্টের রিটের প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মাহবুব মনের অগোচরে স্বীকার করেছেন তাঁদের দলের নেতা (তারেক রহমান) ও বিএনপি সন্ত্রাসীর দল। খন্দকার মাহবুব বলেছেন, ওসামা বিন লাদেনের বক্তব্যও মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়, তাহলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে সমস্যা কোথায়। এ বক্তব্যই প্রমাণ করে তারেক রহমান একজন সন্ত্রাসী ও বিএনপি সন্ত্রাসীদের দল। হানিফ বলেন, চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে মানুষের জান-মালের ক্ষতি করা ছাড়া দেশে আন্দোলন করার মতো শক্তি বিএনপির নেই। কারণ যে দলের নেতারা গ্রেফতারের ভয়ে প্রেসক্লাবে লুকিয়ে থাকেন, হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তাঁরা কীভাবে আন্দোলন করবেন? স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ আবু কাওছারের সভাপতিত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথসহ ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতারা বর্ধিতসভা উপস্থিত ছিলেন। খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। অরাজকতা-নাশকতা করে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ে নতুন কোন তৃতীয় শক্তি ক্ষমতায় আনার নীল নক্সা করছেন। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যার চরম মূল্য দিতে হবে। যত বড় নেতাই হোন, প্রতিটি অপকর্মের বিচার হবে। এজতেমার মধ্যেও তারা অবরোধ দিয়েছেন। এভাবে আউটসোর্সিং করে বেশি দিন আন্দোলন চলে না। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানাসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রমুখ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে গণমমাধ্যমগুলো। গণমাধ্যমে এক সপ্তাহ সংবাদ না আসলে তাদের আর পাওয়াই যাবে না। বিশ্ব এজতেমা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হতে না পারে, এ জন্যই খালেদা জিয়া অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এ পাপের প্রায়াশ্চিত্ত খালেদা জিয়াকে করতেই হবে। অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, ত্রাণমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×