ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চরফ্যাশনে দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ১০ জানুয়ারি ২০১৫

চরফ্যাশনে দেশের  দ্বিতীয় সুন্দরবন

এ আর এম মামুন, চরফ্যাশন ॥ ভোলার চরফ্যাশনের চর কুকরি মুকরিতে কয়েক হাজার হেক্টর এলাকা নিয়ে সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে মানবসৃষ্ট সুন্দরবন। কেবল প্রাকৃতিকভাবে নয়, বরং প্রকৃতি এবং মানুষের যৌথ অবদানে বিকশিত হচ্ছে এ সুন্দরবন। আগামী ১৫ বছর পর দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে সরকারী অর্থায়নে কুকরি বন গবেষণা বিভাগ এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জানা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা আর সাগর মোহনায় নতুন চরভূমিকে স্থায়ী করতে ১৯৭২ সালে চরফ্যাশনের চরকুকরি-মুকরিসহ জেলার দক্ষিণের উপকূলে তৈরি করা হয় ম্যানগ্রোভ। এরপর ১৯৯০ সালে প্রকল্প হাতে নেয় বন গবেষণা বিভাগ। এ প্রকল্পের আওতায় আন্ডার প্লান্টিং প্রক্রিয়ায় বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে সুন্দরবন থেকে কেওড়া, বাইন, গেওয়া, খলসী ও পশুরসহ বিভিন্ন বীজ সংগ্রহ করে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই চারা চর দিগল, নার্সারির খাল, চর শফি, চর জমির, চর ইসলাম, দিগল, পশ্চিম দিগল ও জাইল্যার খালের ১৬ হাজার একর বাগানে রোপণ করা হয়েছে। যার ৭০ ভাগ গাছই লম্বা হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত। বনকর্মীরা জানান, যে চারা সুন্দরবন থেকে আনা হতো এখন বন বিভাগের বাগান থেকে সেই চারা পাওয়া যাচ্ছে। আর বীজ সংগ্রহ থেকে শুরু করে সিডবেডে বীজের অঙ্কুরোদ্গমসহ বাগানের পরিচর্যায় কাজ করছেন নারী কর্মী। বন বিভাগের চর কুকরি মুকরির রেঞ্জার সাজেদুল আলম বলেন, বর্তমানে কুকরি মুকরিতে ১০ হাজার একর সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বাগান রয়েছে। কুকরির বন গবেষণা কেন্দ্রের স্টেশন কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপকূলের ম্যানগ্রোভ বাগানের কেওড়া প্রজাতির বৃক্ষ মরে যাবে। যার শূন্যস্থান দখল করবে সুন্দরবন প্রজাতির বৃক্ষ। ১৬ হাজার একর বাগানে সুন্দরবন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। সুন্দরবন প্রজাতির বৃক্ষের বিকাশের চলমান ধারা অব্যহত রাখতে পারলে আগামী ১৫ বছর পর কুকরী হবে মানব সৃষ্ট প্রথম সুন্দরবন আর দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন।
×