ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সূচকের সঙ্গে লেনদেন বাড়ল

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১১ জানুয়ারি ২০১৫

সূচকের সঙ্গে লেনদেন বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। গত বছরের শেষ সপ্তাহে সব ধরনের সূচক কমলেও গত সপ্তাহে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কিছুটা কমেছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৮৩৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার। এ হিসাবে আলোচিত সপ্তাহে ঢাকার বাজারে লেনদেন বেড়েছে ২৭৬ কোটি ৮৮ লাখ বা ৩২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ডিএসইর লেনদেনের মধ্যে ৮০ দশমিক ৫২ শতাংশ ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির, ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ছিল ৩ দশমিক ২২ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ছিল ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ছিল ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ২৭ দশমিক ২০ পয়েন্ট। ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে দশমিক ৫৯ শতাংশ বা ১০ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট। অপরদিকে শরিয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৭ দশমিক ৭০ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৮টি কোম্পানির শেয়ারের দর। আর লেনদেন হয়নি ৪টি কোম্পানির শেয়ার। ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, অগ্নি সিস্টেম, ডেসকো, সাইফ পাওয়ার টেক, রতনপুর স্টিল মিলস লিমিটেড, মবিল যমুনা বিডি, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন, আইডিএলসি ও খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : অলটেক্স, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ডায়িং, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, সাইফ পাওয়ার টেক, মিথুন নিটিং, বঙ্গজ, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, অগ্নি সিস্টেম ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : নর্দার্ন জুটস, এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, শ্যামপুর সুগার মিলস, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড, প্রগতি ইসলামী লাইফ, প্রাইম লাইফ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, জুটস স্পিনার্স, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে সিএসইতে আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১১ কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার টাকার শেয়ার। লেনদেন কমলেও বেড়েছে সব ধরনের সূচক। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১১২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ৫৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫ টির, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। পিই রেশিও বাড়ল ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ১২ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও ছিল ১৮ দশমিক ১ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, গত সপ্তাহে বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়ার কারণে পিই রেশিও বেড়ে গেছে। তবে পিই রেশিও ১৫ ঘরে থাকলে বিনিয়োগ নিরাপদ বলে মনে করেন তারা। খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৭ দশমিক ১ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ৩৩ দশমিক ৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ২২ দশমিক ৯০ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩৪ দশমিক ৮ পয়েন্ট, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে ১৪ পয়েন্ট, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ২৫ দশমিক ৫ পয়েন্টে, পাট খাতের ৮১ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের ৩৯ দশমিক ২ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৮ দশমিক ৪ পয়ন্টে, এনবিএফআই খাতের ২০ দশমিক ৬ পয়েন্টে, কাগজ খাতের ৮ দশমিক ৫ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৭ দশমিক ১ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ৪১ দশমিক ২ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ২০ দশমিক ১ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতে ৩৩ দশমিক ৯ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১২ দশমিক ২ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৫ দশমিক ২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
×