ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ আওয়ামী লীগের জনসভা

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ আওয়ামী লীগের জনসভা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ সোমবার বেলা ২টায় আওয়ামী লীগের জনসভা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। লাখো মানুষের ঢল নামিয়ে জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করে সরকারের এক বছর পূর্তির দিন আজ রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করবে শাসক দলটি। রাজধানীর প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডের পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতাকর্মীরা এ জনসভায় অংশ নেবেন। আয়োজকরা বলছেন, বিএনপি ও ছাত্রদলের ডাকা অবরোধ-হরতালের মধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষের জনসমাগম ঘটিয়ে বিরোধী পক্ষকে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া দেখাবে আওয়ামী লীগ। জনসভাকে সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। গড়ে তোলা হয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে কমপক্ষে দুই লাখ লোক-সমাগমের টার্গেট নেয়া হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগের যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বিশেষভাবে নির্দেশ দেন। জনসভা সফল করতে ইতোমধ্যে কয়েকটি বর্ধিত সভা করেছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। দলের সব সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পক্ষ থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সাধারণত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সমাবেশ করা হলেও এবার বিশ্ব এজতেমার কারণে তা পিছিয়ে সোমবার দিন রাখে আওয়ামী লীগ। জনসভার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। মঞ্চের সামনে বিশাল প্যান্ডেলও তৈরি করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা রবিবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কাজ পরিদর্শন করেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ জনসভায় সর্বোচ্চ জনসমাগম নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ঢাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ঘোষণায় উত্তেজনার মধ্যে ৪ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যে নিষেধাজ্ঞা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দিয়েছিল তা তুলে নেয়ার কোন খবর এখনও আসেনি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অনুমতি নিয়েই জনসভা করা হবে। রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আওয়ামী লীগ আইন অমান্য করে কোন কাজ করে না, করবেও না। অনুমতি নিয়েই আমরা জনসভা করব। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’র সঙ্গে টেলিফোনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কথা বলা এবং মার্কিন ছয় কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জাল করে দেয়া বিবৃতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বিএনপির গোটা জাতিকে অপমানিত করেছে। যাদের কেন্দ্র করে তারা এই মিথ্যাচার করেছে, সেই ব্যক্তিরাই তা অস্বীকার করেছেন। বিএনপির যদি ন্যূনতম যদি কা-জ্ঞান থাকত, লজ্জাবোধ থাকত, তাহলে আর এটা নিয়ে কথা বলত না। তাদের উচিত ছিল জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের ওপর দেশের মানুষের সমর্থন নেই। তারা আরও একবার প্রমাণ করল, এই দেশের মানুষকে বাদ দিয়ে বিদেশীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকার জন্য চলচাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে। বিশ্ব এজতেমার সময় বিএনপির অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গোটা জাতি আরেকবার দেখল এই বিএনপি-জামায়াতকে। যারা নিজেদের সবসময় ইসলামের সোল এজেন্ট ও রক্ষক হিসেবে দাবিদার। তারা কিভাবে অবরোধ অব্যাহত রেখে মুসল্লিদের দুর্ভোগের মধ্যে রাখল? এতে আরেকবার প্রমাণ হলো বিএনপি-জামায়াত কখনোই প্রকৃত ইসলাম ধর্মের চিন্তার ধারক নয়।
×