ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টেনিস ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন স্টোসার!

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

টেনিস ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন স্টোসার!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চার বছর পেরিয়ে গেছে। ২০১১ সালে ক্যারিয়ারের একমাত্র গ্র্যান্ডসøাম হিসেবে ইউএস ওপেন শিরোপা হাতে তুলেছিলেন বিশ্বের সাবেক এক নম্বর অস্ট্রেলিয়ার সামান্থা স্টোসার। তবে গত বছরটা সবচেয়ে খারাপ কেটেছে ৩০ বছর বয়সী এ টেনিস তারকার। মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত ছিলেন তিনি। এবার ঘরের মাঠে বছরের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে ফেরার লড়াই শুরু করতে চান স্টোসার। এর সপ্তাহ খানেক আগে তিনি জানালেন গত বছর অব্যাহত ব্যর্থতার কারণে মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে টেনিস ক্যারিয়ারেরই ইতি টানতে চেয়েছিলেন তিনি। স্টোসার মনে করছেন টেনিসের প্রতি যে অনুরাগ সেটাই শেষ হয়ে গেছে তাঁর। ২০১৪ সালে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ২০ এর বাইরে থেকে শেষ করেছেন স্টোসার। এখন তিনি বিশ্বের ২১তম খেলোয়াড়। গত ৬ বছরের মধ্যে এটিই ছিল তার সর্বনিম্ন র‌্যাঙ্কিং। এ কারণে স্টোসার ২০১৪ সালকে নিজের জন্য সত্যিই কঠিনতম বছর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। গত বছর এপ্রিলে ডব্লিউটিএ পর্তুগালে সুইস কোয়ালিফায়ার টিমিয়া ব্যাসজিনস্কির কাছে প্রথম রাউন্ডেই হেরে বিদায় নিয়েছিলেন। তখন তিনি আক্ষেপ নিয়ে জানিয়েছিলেন সম্ভবত টেনিসের প্রতি যে টান এবং অনুরাগ থাকা প্রয়োজন সেটা আর অবশিষ্ট নেই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমত রাউন্ডেই হেরে গেলাম সেখানে। ওই পরাজয়ের পর আমি মানসিকভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। সম্ভবত আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সপ্তাহ ছিল সেটি। অথচ কখনই কোন পরাজয়ে এমনটা ভাবিনি।’ এবার ঘরের মাঠে অসি ওপেন হলেও মানসিক লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জটাকেই বড় মনে করছেন স্টোসার। তিনি বলেন, ‘এখন সবকিছুই ভয়াবহ রকমের মনে হচ্ছে। কি ঘটছে সেটার ওপর কোন নিয়ন্ত্রণ রাখাই কঠিন। আর যখন এটা ঘটতে থাকে তখন বেশ দ্রুতই নিজেকে হারিয়ে ফেলি, কোনভাবেই হতাশার গ্রাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি না।’ তবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য অনেক মানুষের কাছে সহায়তা চেয়েছেন স্টোসার। আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ কৌশল হিসেবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামও করছেন তিনি। স্টোসার বলেন, ‘আমি বিভিন্ন কোচ এবং মনোবিদের সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। চেষ্টা করেছি বিষয়টা থেকে মুক্তি পাওয়ার।’
×