ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীরা সারাবিশ্বের জন্য হুমকি ॥ পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র

অভিযান অব্যাহত রাখুন

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

অভিযান অব্যাহত রাখুন

জঙ্গীদের পুরোপুরি নির্মূল না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রতি দমনাভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার পাকিস্তানে এক অনির্ধারিত সফরে এসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, পাকিস্তানকে নিজের ও প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থে জঙ্গীদের উৎখাত করতে হবে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও এনডিটিভি অনলাইনের। কেরি ইসলামাবাদে বলেন, জঙ্গী দমনে পাকিস্তানের সক্ষমতা বাড়াতে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা আরও বাড়বে। দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে সম্পর্ক জোরদার করতে কৌশলগত আলোচনায় অংশ নিতে তিনি আকস্মিকভাবে পাকিস্তান সফর করেন। ভারতের পর কেরি দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তান এসে পৌঁছানোর পর পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। আজিজ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে কেরিকে স্বাগত জানান। দেশটির সেনাবহিনীর প্রধান রাহিল শরীফের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে। তিনি এমন এক সময় দেশটি সফর করলেন গত মাসের ১৬ তারিখ পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে জঙ্গী হামলায় ১৩৪ শিশু নিহত হওয়ার পর ইসলামাবাদ যখন চরমপন্থীদের দমনে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কেরি পেশোয়ারের ওই স্কুল পরিদর্শন করবেন বলে আজিজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি হত্যাকা-ের শিকার ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরের সঙ্গে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন স্বার্থ জড়িত রয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন। কেরি বলেছেন, আফগানিস্তান, ভারত ও মার্কিন স্বার্থের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আফগান ও পাকিস্তান তালেবান, হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও লশকর ই তৈয়বার নাম উল্লেখ করে বলেন, এরা কেবল পাকিস্তান ও তার প্রতিবেশীগুলোর জন্যই নয় যুক্তরাষ্ট্র ও সারাবিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি আরও বলেন, ‘কাজটি অনেক বড়, কিন্তু এটা করতে ভুল করলে চলবে না। চরমপন্থীরা ভবিষ্যতে আর কখনও যেন পাকিস্তানের কোন জায়গাকে তারা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে কাজ করার জন্য আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে ‘জরব ই আযব’সহ নওয়াজ সরকারের গৃহীত জঙ্গীবিরোধী অভিযানের প্রশংসা করেন কেরি। কাশ্মীরে পাক-ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা সম্পর্কে কেরি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশকে এ ব্যাপারে কূটনৈতিক উপায়ে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রেরও একটি উদ্বেগের বিষয় বলে তিনি জানিয়েছেন। পশ্চিমা অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, পাক সেনাবাহিনী জঙ্গী গ্রুপগুলোকে কৌশলগত সম্পদ মনে করে। কারণ প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রভাব খাটাতে তারা কাজে আসতে পারে। এ কারণে পাকিস্তান এর আগে জঙ্গী দমনে কখনও এতটা আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু পেশোয়ার হত্যাকা- সেই অবস্থান পাল্টানোর একটি সুযোগ তৈরি করেছে। অন্যদিকে নওয়াজ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ’।
×