প্যারিসে শার্লি হেবদো ভবনে ইসলামপন্থীদের হামলার প্রেক্ষাপটে চীনের একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র বলেছে, পাশ্চাত্য যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উত্তেজনার সম্মুখীন হচ্ছে তাতে দাসত্ব ও উপনিবেশবাদের জন্য মাশুল দিচ্ছে। খবর এএফপির
চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকার সম্পাদকীয়তে প্যারিস ও অন্যত্র এ সপ্তাহান্তে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশগুলোকে ‘পেইন কিলার্স’ বলে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পেইন কিলার সভ্যতার এ ক্রমবর্ধমান সংঘাত থামাতে পাওে না। ব্যঙ্গধর্মী ফরাসী সাপ্তাহিক শার্লি হেবদোর প্যারিস অফিসে গত সপ্তাহে ইসলামপন্থী বন্দুকধারীদের হামলায় ১২ সাংবাদিক নিহত হওয়ার পর পত্রিকাটির মত প্রকাশের সমর্থনে বিশ্বব্যাপী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি জানায়, জনমত রয়েছে যে, পাশ্চাত্যের উন্নত সমাজ যে পথ দিয়ে হাঁটছে তা তাদের দাসত্ব ও উপনিবেশবাদের ঐতিহাসিক কার্যাবলীর ফল। ইউরোপে অভিবাসন সমস্যা থেকে জন্ম হয়েছে উগ্র চরমপন্থী, ডানপন্থী সংগঠন ও গ্রুপগুলোর। শার্লি হেবদোতে হামলায় নিহতদের উদ্দেশ্যে শোক প্রকাশ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থনে প্যারিসের রাস্তাগুলোতে রবিবার সমবেত হন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। কিন্তু গ্লোবাল টাইমস দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছে, কোন গুরুত্বপূর্ণ ফলই বয়ে আনবে না এ সমাবেশ। উপরন্তু, প্যারিসে রবিবারের ওই বিশাল সংহতি সমাবেশটি ব্যাপক চিত্তাকর্ষক হলেও তা ছিল এক গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে পেইন কিলার খাওয়ানোর মতো। পত্রিকাটি জানায়, পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসার পর শার্লি হেবদো ইসলাম সম্পর্কে তার অবস্থান ধরে রাখতে চাইলে পত্রিকাটি ফরাসী সরকারকে কঠিন অবস্থায় নিয়ে যাবে এবং তা হবে ইউরোপে সভ্যতা সংঘর্ষের এক প্রতীক। প্যারিস হামলার পর থেকে বেজিং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, শার্লি হেবদোর আক্রমণাত্মক কার্টুন সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া সোমবার এক মন্তব্যে বলেছে, প্যারিসের ঘটনা কেবল সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ হিসেবে সরলীকরণ করা ঠিক হবে না। কারণ, এ স্বাধীনতারও একটি সীমারেখা আছে। সংবাদ সংস্থা জানায়, সন্ত্রাসের মূল বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করার এখনই যথার্থ সময় পাশ্চাত্যের জন্য।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: