ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভালবাসা নয়, জমির লোভে বিয়ে করে সালমাকে

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

ভালবাসা নয়, জমির লোভে বিয়ে করে সালমাকে

আহসান হাবিব হাসান, মংলা থেকে ॥ ভালবেসে প্রতিবেশী হাসান হাওলাদারকে বিয়ে করেছিলেন মংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাই নগর এলাকার সোহরাব কাজীর মেয়ে সালমা বেগম। তবে মেহেদির রং শুকানোর আগেই সালমার চোখে তিলে তিলে ধরা পড়ে পছন্দের মানুষের আসল রূপ। আসলে সুন্দরবনে কাঠ ব্যবসায়ী হাসান সালমাকে কখনই ভালবাসেনি, তার চোখে ছিল লোভ। আর সেই লোভ ভর করেছে সালমার বাবার এককাঠা জমির ওপর ! সেই জমি যৌতুক হিসেবে দিতে না পেরে সালমা আজ স্বামীর ঘর ছাড়া । তাতে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করে সালমা ফিরে যেতেও চায় না স্বামীর ঘরে। তবে তার জীবনকে উদাহরণ টেনে গড়ে তুলতে চায় যৌতুকের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন। মঙ্গলবার মংলায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে তার এই প্রতিবাদের কথা জানান সালমা। সালমা জানান, ২০১১ সালে মংলা চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় একটি দোকানে তার ও হাসানের প্রথম চোখাচোখি হয়। সেখান থেকে ভাললাগা । তারপর ভালবাসা। এর একবছরের মধ্যে ঘর ছেড়ে পলিয়ে বিয়ে। বিয়ের পর ক্রমান্বয়ে বুঝতে শুরু করে তার স্বামী হাসান যৌতুকলোভী। চলে সালমার ওপর অমানবিক অত্যাচারও। বাঙালী নারী সালমা ! তাই হাসানকে নিয়ে সালমার চোখমুখে তখনও সংসার গড়ার স্বপ্ন। এক বছর পরে ঘর আলো করে জন্ম নেয় তাদের ফুটফুটে কন্যা সন্তান। এর মধ্যে তাদের দু’জনের পরিবারই মেনে নেন তাদের ভালবাসার এ বিয়ে। এই সুযোগে হাসান বায়না ধরে চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাই নগর মোড়ে শ্বশুর সোহরাব কাজীর এককাঠা জমি তাকে দেয়ার জন্য। কিন্তু মাছের পোনা ব্যবসায়ী সোহরাব শেষ সম্বল জমিটি দিতে অস্বীকার করেন। সালমার অভিযোগ বাবা জমি না দেয়ায় তার ওপর তার স্বামী ও শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে তার দুই বছরের কন্যা সন্তান রিয়াকে আটকে রেখে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে সালমার বাবার বাড়ির লোকজন রিয়াকে নিতে এলে তাদেরও মারধর করে। শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি সাড়ে সাত ঘণ্টা পর চালু স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি সার্ভিস সাড়ে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চালু হয়েছে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় ধরে মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে সাতটি ফেরি। আটকে পড়া ফেরি বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ পরাণ, কলমিলতা, রায়পুরা, রাণীক্ষেত ও টাপলুর সহস্রাধিক যাত্রী প্রচ- শীতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে দীর্ঘ সময় পর আবশেষে মঙ্গলবার সকালে গন্তব্যে পৌঁছে। এ সময় দু’পারে প্রায় তিন শ’ যান পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট থেকে খানবাড়ি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৩কি.মি.সড়ক জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কাওড়াকান্দি ঘাটে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচলে বিঘœ হওয়ায় রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স, জরুরী ওষুধ, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং ঢাকামুখী শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও নৈশকোচ পারাপারের অপেক্ষায় থাকে। আট ঘণ্টা পর চালু দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী থেকে জানান, গোয়ালন্দের পদ্মা নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে পুনরায় এ পথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
×