ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সঙ্কটের আশঙ্কা, সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষীরা

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সঙ্কটের আশঙ্কা, সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষীরা

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী থেকে ॥ রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে বিস্তীর্ণ বোরোর ক্ষেতে জ্বালানি (ডিজেল) সঙ্কটের কারণে সেচ বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক ফিলিং স্টেশনে তেলশূন্য হয়ে পড়েছে। সপ্তাহের বেশি সময় ধরে লাগাতার অবরোধের মুখে তেলের লরি আসতে না পেরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে কৃষকরা রাজশাহী শহরে এসে তেলের জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন। সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজশাহী রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায় বড় বড় জারিকেনে ডিজেল নিয়ে বসে আছে ৫ জন কৃষক। এরা সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরগামী ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছেন। এদের মধ্যে মোরশেদ আলী নামের একজন জানান, ভোলাহাট উপজেলার রহনপুরে মোট তিনটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। টানা অবরোধের কারণে তিন দিন আগে পাম্পগুলি তেল শেষ হয়ে গেছে। বোরো মৌসুমের শুরুতেই এ তেল সঙ্কট ভাবনায় ফেলে দিয়েছে তাদের। স্থানীয় দোকান কিংবা পাম্পে কোথাও ডিজেল না পাওয়ায় তারা রাজশাহী শহরে এসেছেন ডিজেল কিনতে। তারা ৭০০ লিটার তেল কিনেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ডিজেল সঙ্কট। অবরোধে জনজীবন স্বাভাবিক থাকলেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবি নয়। নাশকতার আশঙ্কায় তেলবাহী লরিগুলো চলাচল করতে পারছে না। ফলে এক সপ্তাহ থেকে ডিজেল সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার বেশকিছু পেট্রোল পাম্প তেল সঙ্কটে পড়েছে। বাঘাবাড়ীর ডিপো ইনচার্জ আব্দুল মজিদ জানান, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ লাখ লিটার তেল বিক্রি হয়ে থাকে। তবে অবরোধের কারণে এ বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে। তিনি আরও জানান, ডিপোতে সাড়ে সাত হাজার কোটি লিটারের মতো তেল (পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন) মজুদ আছে। সঠিকভাবে তেল সরবরাহ করা হলে কোথাও কোন সঙ্কট থাকবে না। নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার শুড়িপুকুর গ্রামের কৃষক কাইয়ুম জানান, ৬৬ টাকার ডিজেল তাদের কিনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। তাও সেটা নিতে হচ্ছে ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার দূরের খোলা দোকান থেকে। এসব দোকানিরাও মানুষ বুঝে তেল দিতে শুরু করেছে। গোপালগঞ্জে ছাব্বিশ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল ॥ বিক্ষোভ নার্সিং ইনস্টিটিউট নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১৩ জানুয়ারি ॥ গোপালগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের নতুন ভর্তিকৃত ৬৮ শিক্ষার্থীর ২৬ জনের ভর্তি বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ওই শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তারা ইনস্টিটিউটের ভিতরে বিক্ষোভ-মিছিল করে গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। ফলে শিক্ষকরা ক্লাসে প্রবেশ করতে না পারায় কোন ক্লাসও অনুষ্ঠিত হয়নি। বিক্ষোভকারীরা জানায়, ভর্তির পর ইতোমধ্যে তারা সেখানে ক্লাস করা শুরু করেছে। এ মুহূর্তে তাদের ভর্তি বাতিল হওয়ায় এখন তারা ভীষণ বিপাকে। তাই ওই বাতিল-আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে। গোপালগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বর্ণা রানী হীরা জানিয়েছেন, নতুন ভর্তিকৃত ৬৮ জন ছাত্রীর ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় ঢাকার ডিএনএস (ডিরেক্টোরেট অব নার্সিং সার্ভিসেস্) থেকে এদের ভর্তি বাতিলের আদেশ এসেছে। সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম সিরাজুল ইসলাম জানান, ডিএনএস প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ীই এসব শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছিল। আবার তাদেরই প্রদত্ত পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী ওই ২৬ জনের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।
×