ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবরোধ কর্মসূচীর বিপক্ষে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহলের চাপ ॥ দলের একটি অংশ হাইকমান্ডের;###;ওপর নাখোশ

বেকায়দায় বিএনপি ॥ পিছু হটার পথ খুঁজছেন খালেদা

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

বেকায়দায় বিএনপি ॥ পিছু হটার পথ খুঁজছেন খালেদা

শরীফুল ইসলাম ॥ টানা অবরোধ কর্মসূচী থেকে সরে আসার পথ খুঁজছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এতদিন কঠোর অবস্থানে থাকলেও নেতাকর্মীরা মাঠে না নামার কারণে কর্মসূচী সফল না হওয়া এবং এ কর্মসূচীর কারণে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাওয়ায় এখন তিনি অবস্থান পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন। তবে রাজনৈতিকভাবে নিজ দলের অবস্থান দুর্বল না করে কিভাবে অবরোধ কর্মসূচী থেকে বের হয়ে আসা যায় তার জন্য বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন তিনি। সূত্র মতে, সরকারের তরফ থেকে আলোচনার উদ্যোগ কিংবা শীঘ্রই রাজধানীতে একটি সমাবেশ করার অনুমতি দিলে গুলশান কার্যালয় থেকে বাসায় ফিরে যাবেন খালেদা জিয়া। সেই সঙ্গে ১৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা এজতেমার শেষ দিনে বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুলসংখ্যক লোক ঢাকায় এনে রাখার চেষ্টা করবেন এবং সমাবেশের দিন রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করবেন। তবে সমাবেশ করার অনুমতি পেলে তার আগেই তিনি অবরোধ চলাকালে গ্রেফতারকৃত দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করবেন। এদিকে টানা অবরোধ ডেকে কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে না নামলেও পিকেটারদের দিয়ে নাশকতা চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে পড়েছে বিএনপি। এমনকি দলের একটি অংশও বিএনপি হাইকমান্ডের প্রতি নাখোশ হয়েছে। তারপরও লন্ডন থেকে দেয়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনার কারণেই বিএনপি এ কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে এ কর্মসূচী যাতে মাঠে মারা না যায় সেজন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এখনও তার সঙ্গে যারা দেখা করতে যাচ্ছেন তাদের কাছে অবরোধ কর্মসূচী চালিয়ে যাবার কথা বলছেন। মঙ্গলবারও খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাত করার পর বাইরে এসে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা দলের ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া সিরাজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খালেদা জিয়া অবরোধ কর্মসূচী চালিয়ে যেতে বলেছেন। আর তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও প্রতিদিনই মিডিয়াকে জানাচ্ছেন অবরোধ চলবে। মঙ্গলবারও তিনি এক বিবৃতিতে অবরোধ কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। বিএনপির একটি অংশ প্রথম দফা এজতেমার আখেরি মোনাজাতের আগেই অবরোধ কর্মসূচী স্থগিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু লন্ডন থেকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দেশে অবস্থান করা তার অনুসারীরা খালেদা জিয়াকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন এ যাত্রায় আন্দোলন থেকে পিছু হটলে নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি দলের দুর্বলতা প্রকাশ পাবে। তাই যে কোন কিছুর বিনিময়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আর এ আন্দোলনের মাধ্যমেই দলের প্রকৃত নেতাকর্মীদের পরীক্ষা নিতে হবে। তারেক রহমান ও তার অনুসারীদের অনুরোধেই অতীতে ধর্মীয় বিষয়ে বড় ধরনের ছাড় দিলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কঠোর অবস্থানে গিয়ে এজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিনেও অবরোধ স্থগিত করেননি। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় দফা। এ দফায় আখেরি মোনাজাত হবে ১৮ জানুয়ারি। তাই আবারও বিএনপির কিছু নেতা ও বিএনপিপন্থী সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি দ্বিতীয় দফা এজতেমার আখেরি মোনাজাতের আগেই অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি অনুরোধ রেখেছেন বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার পথ খুঁজছেন বলে জানা গেছে। অবরোধ চলাকালেই বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয় ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ফোন করে খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের একটি যুক্ত বিবৃতি মিডিয়ায় প্রচার করে বলা হয় এ বিবৃতিদাতারা খালেদা জিয়াকে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং তারেক রহমানের বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার বন্ধ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বিজেপিপ্রধান অমিত শাহ জানান তিনি ফোনে খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নেননি। এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে যে কথা প্রচার করা হয়েছে তা মিথ্যা বলেও অমিত শাহ জানান। এছাড়া ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানও বিবৃতির ব্যাপারে প্রতিবাদ করে জানিয়েছেন তাদের স্বাক্ষর জাল করে বিএনপি মিডিয়ায় বিবৃতি পাঠিয়েছে। এ দুটি ঘটনা আন্দোলন চলাকালে বিএনপিকে চরম বেকায়দায় ফেলে। এ বিষয়টি সর্বমহলে জানাজানি হওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও এ বিষয়টি ওঠে আসে। এ কারণে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ায় অবরোধ কর্মসূচীতেও কিছুটা ভাটা পড়ে। সূত্র মতে, রাজপথে দলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছাড়া টানা অবরোধ কর্মসূচী দীর্ঘায়িত করলেও এ যাত্রায় যে বিএনপি সফলতার মুখ দেখবে না সে বিষয়টি খালেদা জিয়া বুঝতে পেরেছেন। তাই এখন তিনি চাচ্ছেন যে কোনভাবে সরকার কিংবা সরকারি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার কথা বলা হোক। অথবা শীঘ্রই বিএনপিকে রাজধানীতে একটি সমাবেশ করার সুযোগ দেয়া হোক। সমাবেশ করার অনুমতির ব্যাপারে চুপে চুপে বিএনপির কিছু নেতা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে এমন আশ্বাস পাওয়া যায়নি। কারণ বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও ‘প্রেস্টিজ’ জড়িত। কারণ লন্ডন প্রবাসী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছিলেন তারেক রহমান এ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে বিএনপিকে আর সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে তারেক রহমানের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপিও বেকায়দায় রয়েছে বলে জানা যায়। আবার দ্বিতীয় দফা বিশ্ব এজতেমা শেষ হওয়ার আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করতে চাইলেও ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াত নাখোশ হতে পারে। কারণ এজতেমাকে কখনও ভাল চোখে দেখে না জামায়াত। এজতেমার আয়োজক ও অরাজনৈতিক চেতনায় বিশ্বাসী তবলীগ জামাতের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব পুরনো। উভয়েই ইসলামের নামে রাজনীতি করলেও কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। এ কারণেই এবার সুকৌশলে জামায়াত বিএনপি হাইকমান্ডকে দিয়ে এজতেমার সময় অবরোধ চালিয়ে তবলীগ জামাতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়েছে। তাই এজতেমা শেষ হওয়ার আগে অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহারের বিষয়ে জামায়াত সায় দেবে না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের স্বার্থে বর্তমান সরকারের পতন ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ পালন করা হলেও এ কর্মসূচীর ফলাফল এখনও তাদের পক্ষে আসেনি। বরং ৮ দিনের অবরোধে অন্তত এক ডজন মানুষের প্রাণহানি, কয়েক হাজার যানবাহন ভাংচুর এবং সহস্রাধিক গাড়ি জ্বালাও-পোড়াওসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা ছাড়া জাতিকে আর কিছুই দিতে পারেনি বিএনপি। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য টানা অবরোধ কর্মসূচী পালন করলেও উল্টো বিএনপিই রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় পড়েছে। বিএনপির আন্দোলন কি দাবি আদায়ের জন্য না জনদুর্ভোগের জন্য এ কথা এখন সারাদেশের মানুষের মধ্যে জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। মানুষ বলাবলি করছে বিএনপির আন্দোলন যদি দাবি আদায়ের জন্যই হয় তাহলে নেতারা মাঠে না নেমে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন? আর জেল-জুলুম সহ্য করতে না পারলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারই দরকার কি? মিডিয়াসহ বিভিন্নভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি এখন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও বুঝতে পেরেছেন। প্রথমে তিনি নির্দেশনা দিয়ে সারাদেশের সর্বস্তরের নেতাদের মাঠে নামানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার এ নির্দেশনায় দলের নেতারা সাড়া না দেয়ায় এবং ইতোমধ্যে ক’জন নেতা গ্রেফতার হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াও এখন আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তনের কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে তিনি অপেক্ষা করছেন সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয় কিনা। আর তা না হলেও বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়ার ব্যাপারে সরকার কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় কিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সরকারী দল আওয়ামী লীগ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিশাল শোডাউন করে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা মারে। এ কারণে এখনই লাগাতার আন্দোলনে যে সরকার পতন সম্ভব নয় এ বিষয়টি বিএনপি নেতাকর্মীদের ভাবনায় এসে গেছে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বলে পরিচিত কিছু বুদ্ধিজীবী বিএনপিকেও যে কোনভাবে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে দলের সর্বস্তরের কমিটি পুনর্গঠন করে নেতাকর্মীদের পরবর্তী আন্দোলনে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি নিতে দলের হাইকমান্ডের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এ পরামর্শ পাওয়ার পরই বিএনপি হাইকমান্ড এখন কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসে বিকল্প পথে এগুনোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে টানা ১১ দিন বাসা ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও হাঁপিয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে। ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের পাশাপাশি সরকারকে বড় ধরনের বেকায়দায় ফেলতে ৩ জানুয়ারি রাতেই বাসা ছেড়ে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান নেন খালেদা জিয়া। ওই দিন থেকে গুলশান কার্যালয়ে তার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ কাইয়ুম, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, প্রেসউইং কর্মকর্তা সায়রুল কবির খান, সামসুদ্দিন দিদারসহ আরও ক’জন। কিন্তু খালেদা জিয়া বাসায় না যাওয়ায় তাঁরাও বাসায় যেতে পারছেন না। তবে খালেদা জিয়া বাসায় না গেলেও প্রতিদিনই আত্মীয় স্বজনের বাসা থেকে তার খাবার আসে। তার বাসার কাজের মেয়ে কুলসুমও তার সঙ্গে আছে। এ ছাড়া প্রতিদিনই দলের কোন না কোন নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের পাশে এখনও জলকামান ও প্রিজন ভ্যান দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে বিপুলসংখ্যক পুলিশ প্রহরা দিচ্ছে। আর এ কারণেই বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। অবশ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নন। তিনি ইচ্ছে করলেই বাসা কিংবা অন্য কোথাও যেতে পারবেন। অপরদিকে দিন দিন নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ কমতে থাকায় অবরোধ কর্মসূচীও আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এ কর্মসূচী পালন থেকে সরে আসার পথ খুঁজছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। তবে কোন পথে সরে আসা যায় সেটি এখনও ঠিক করতে না পারলেও সবকিছু ঠিকঠাক মতো চললে দু-একদিনের মধ্যেই বিএনপি বর্তমান ধারার আন্দোলন কৌশল পরিবর্তন করবে অভিজ্ঞ মহল এমনটিই আশা করছে।
×