ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মাশরাফিদের প্রাণবন্ত অনুশীলন

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

মাশরাফিদের প্রাণবন্ত অনুশীলন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলন সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল অনুশীলন শুরু করেছে প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরাসিংহের অধীনে। তবে প্রথম দিন হালকা ব্যায়াম, শারীরিক সামর্থ্য পরীক্ষাতেই শেষ হয়েছে। আর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মূল অনুশীলন। মাঠে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে এবার বিশ্বকাপ হবে। এ দুটি দেশের উইকেটের পরিস্থিতি ও পরিবেশ সম্পূর্ণই ভিন্নতর। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে মূলত পেস সহায়ক উইকেটে অনেক বেশি গতি এবং বাউন্স থাকবে যার সঙ্গে খুব বেশি পরিচিতি নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। তাই বিশেষ ব্যবস্থায় উইকেটে পাথর দিয়ে বলের গতি ও বাউন্স বাড়িয়ে ব্যাটিং করেছেন ব্যাটসম্যানরা। বোলিং মেশিনেও হয়েছে অনুশীলন। দক্ষতা বৃদ্ধির এ স্কিল ট্রেনিং চলবে টানা তিনদিন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ক্রিকেটাররা নেমে পড়েন দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন বিবেচনায় রেখে সাজানো হয়েছিল অনুশীলনের পরিকল্পনা। সকাল থেকেই দলের প্রধান কোচ হাতুরাসিংহের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন শুরু হয়। এ সময় বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক, নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও উপস্থিত ছিলেন। সকালেই নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। আর বোলিং করেন দলে থাকা মূল পেসাররা। সাধারণত ইনডোরে ব্যাটসম্যানরা বোলিং মেশিনে অনুশীলন করলেও এদিন মাঠেই কোচ বোলিং মেশিন ব্যবহার করেন। এছাড়া উইকেটে পাথর বিছিয়েও ব্যাটসম্যানদের অনুশীলন করা হয়। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের উইকেটে গতি বেশি থাকায় বল মাটিতে পড়ার পর স্কিড করে আরও দ্রুত চলে আসে ব্যাটসম্যানদের কাছে। সেইসঙ্গে থাকে যথেষ্ট বাউন্স। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই পাথরের ব্যবহার। কারণ বাংলাদেশের কোন উইকেট অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। বিকল্প হিসেবে এভাবে বলে বাড়তি বাউন্স ও গতি আনার ব্যবস্থা নেয়া হয়। ব্যাটসম্যানরা মূলত হুক-পুল আর কাট খেলার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কোচ হাতুরাসিংহেও টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের এ বিষয়ে উন্নতির জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। ওয়ানডে ম্যাচগুলোয় অধিকাংশ সময়ই দেখা গেছে দলের শুরুটা ভাল হলেও সøগ ওভারে গিয়ে রান তুলতে গলদঘর্ম হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। সে কারণে এ বিষয়টির দিকেও মনোযোগ রাখা হয়েছিল। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সøগ ওভারে কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে সেই অনুশীলন করানো হয়। এ সময় মুশফিকুর রহীম, মাশরাফি বিন মর্তুজা, নাসির হোসেন এবং সাব্বির রহমান রুম্মানরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেন। মূলত এ কয়েকজনকেই সøগ ওভারে রান বাড়ানোর জন্য খেলতে হবে। দুপুর ১টায় সাময়িক বিরতি দিয়ে ফিল্ডিং কোচ হ্যালস্যাল ক্রিকেটারদের ফিল্ডিং প্র্যাকটিস করান। এভাবেই প্রতিদিন স্কিল ট্রেনিংয়ে দুই সেশনে অনুশীলন করবেন ক্রিকেটাররা। সকালে নতুন বলে ওপেনাররা এবং টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা অনুশীলন করবেন। দ্বিতীয় সেশনে মিডল অর্ডারে কিভাবে প্রান্ত বদল করে খেলা যায় সেটার অনুশীলন এবং ফিল্ডিং। প্রথম দিনের অনুশীলন এভাবেই শেষ হয়েছে। তবে যেহেতু বিশ্বকাপ কাছাকাছি চলে এসেছে তাই নতুন করে কিছু শেখানো হচ্ছে না। যার যেটা শক্তিশালী পয়েন্ট সেটা নিয়েই পরিচর্যা চালানো হচ্ছে।
×