ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আমানতকারীদের টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি জমি

প্রকাশিত: ০৩:১৪, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫

আমানতকারীদের টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৪ জানুয়ারি ॥ বাউফলে আরডিপি নামের জামায়াতের একটি এনজিও আমানতকারীদের টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি ও কক্সবাজার-কুয়াকাটায় জমি এবং হাউজিং ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন। অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ৪ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকারও বেশি কামিয়ে নিয়েছেন এ এনজিওটি। আর টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছেন আমানতকারীরা। জানা গেছে, ২০০৯ সালে বাউফল শহরের সৌদিয়া মার্কেটের তিনতলায় আরডিপি নামের একটি এনজিও তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বাউফল পৌর জামায়াতের আমির হাফেজ আবদুর রশিদ হচ্ছেন এ এনজিওর পরিচালক এবং তার ভাই আবদুর রাজ্জাক হচ্ছেন চেয়ারম্যান। অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে এ এনজিওটি মাসিক মুনাফা, মাসিক সঞ্চয় ও হজ প্রকল্পসহ নানা নামে ৪ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকারও বেশি আমানত সংগ্রহ করে। প্রথম পর্যায়ে কয়েক মাস আমানতকারীদের মাসিক মুনাফা দেয়া হলেও পরে তা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ওই এনজিওর কয়েক হাজার সদস্য। প্রতিদিন তারা সঞ্চিত টাকা ফেরত পেতে আরডিপির কার্যালয়ে ভিড় করছেন। কিন্তু কিছুতেই তাদের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে না। এ এনজিওর সহকারী মার্কেটিং অফিসার (এএমও) নজরুল ইসলাম জানান, এ এনজিওতে চাকরি করার সুবাধে তিনি ২০১৩ সালে নিজে ১৩ লাখ ও ঘনিষ্ঠ লোকদের কাছ থেকে ২৭ লাখসহ মোট ৪০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে আমানত রেখে ছিলেন। কয়েক মাস মুনাফা দেয়ার পর আর কোন মুনাফা দেয়া হয়নি। তিনি আমানতের টাকার জন্য বহুবার ধর্ণা ধরে টাকা ফেরত পাননি। তাকে গত বছর নবেম্বর মাসে অগ্রণী ব্যাংক পুরানবাজার শাখার (হিসাব নং-২১১৬) অনুকূলে এ্যারিয়া হেড আলমগীর হোসেন ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত তিন লাখ টাকার একটি চেক দেয়া হয়। (চেক নং ০৪ এএফ/১৪৮৬৭৩৮) কিন্তু তিনি টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন ওই হিসাবে কোন টাকা নেই। তার আমানতের টাকা ফেরত পাওয়ার আসায় পরে তিনি আর কোন পদক্ষেপ নেননি। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, এ এনজিওটির চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের বাড়ি বাউফলের বাজেমহল গ্রামে। তিনি জামায়াতের একজন কর্মী ছিলেন। জীবিকার তাগিদে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। সেখান থেকে ৭-৮ বছর আগে হঠাৎ এনজিও ব্যবসায় আবির্ভাব হয় তার। এরপর তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। আমানতকারীদের কোটি কোটি টাকা নিজের ব্যবসায়িক কাছে লাগিয়ে কক্সবাজার বিচের কাছে ককসি টার্চ (কক্সবাজার সমুদ্র স্পর্ষ) কুয়াকাটা সমুদ্র সৌকতে জায়গা ক্রয় করেন। এর মধে কুয়াকাটা বিচ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দিরের কাছে ১শ’ শতাংশ জমি ও টিএ্যান্ডটির পাশে ২৫ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেছেন। মহেশখালীতে বন্দুকযুদ্ধ ডাকাত সর্দার নিহত স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ জেলার মহেশখালী হোয়ানক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আবদুর রশিদ নামে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। ও সময় এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতে হোয়ানক বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি স্থানীয় আবুল কালামের পুত্র। মহেশখালী থানার ওসি জানান, পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে চিহ্নিত ডাকাত রশিদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছিল। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে রশিদ বাহিনীর সদস্যরা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় ডাকাত রশিদ।
×