ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রিয়াল মাদ্রিদের বাঁচা-মরার লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫

রিয়াল মাদ্রিদের বাঁচা-মরার লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাঁচামরার ম্যাচে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ কোপা ডেল’রে ফুটবলের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে আজ রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলবেন রোনাল্ডো, বেল, বেনজেমা, রামোসরা। গত ৭ জানুয়ারি ভিসেন্টে ক্যালডেরনে প্রথম লেগের ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পায় এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে আছে দিয়াগো সিমিওনের দল। আজ ড্র করলে কিংবা শর্তসাপেক্ষে ন্যূনতম ব্যবধানে হারলেও সেরা আটে পৌঁছে যাবে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর রিয়ালকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে শুধু জয় পেলেই চলবে না, জয়ের ব্যবধানও হতে হবে বড়। গত মৌসুমে ১৯তম কোপা ডেল’রের শিরোপা জেতা রিয়ালের সম্প্রতি ফর্মটাও ভাল যাচ্ছে না। প্রথম লেগের হারা ম্যাচে দলের প্রাণভোমরা রোনাল্ডো প্রথম ঘণ্টা বেঞ্চেই বসে ছিলেন। তবে ফিরতি লেগে এই ভুল আর করবেন না বলে জানিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। পুরো শক্তির দল নামানোর কথা বলেন তিনি। দলকে বড় জয় এনে দিতে সদ্যই ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনাল্ডো শুরুর একাদশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ইতালিয়ান কোচ। গত শনিবার স্প্যানিশ লা লিগায় এস্পানিওলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নতুন বছরে প্রথম জয় পেয়েছে রিয়াল। ওই জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেও এ্যাটলেটিকোকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে ওঠাটা রিয়ালের জন্য খুব একটা সহজ হবে না। গত রবিবার লা লিগায় বার্সিলোনার কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেলেও বার্নাব্যুতে যাওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই এ্যাটলেটিকোর ফুটবলারদের। দলটির ফুলব্যাক জুয়ানফ্রান বরং রিয়াল মাদ্রিদকে হুমকিই দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, বার্নাব্যুতে কোপার ম্যাচে আমরা বেশ শক্তিশালী থাকব। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আমরা মাঠে নামব। প্রথম লেগের ম্যাচে প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিল রিয়াল। উল্টো হারে আরেকবার বিধ্বস্ত হতে হয় আনচেলত্তির দলকে। গত সেপ্টেম্বরে লা লিগায় দিয়াগো সিমিওনের দলের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল রিয়াল। ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান থেকে ধারে খেলতে আসা স্প্যানিশ তারকা ফার্নান্ডো টোরেসকে নিয়েই প্রথম একাদশ সাজান এ্যাটলেটিকো কোচ। অন্যদিকে, সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছাড়া খেলতে নামে রিয়াল। এর ফলে লিওনেল মেসির মতো সি আর সেভেনেরও জায়গা হয় সাইডবেঞ্চে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি বক্সের মধ্যে রামোস প্রতিপক্ষের রাউল গার্সিয়াকে টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গার্সিয়া নিজেই বল জালে জড়ান। এর সাত মিনিট পর রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জেমস রড্রিগুয়েজের বদলে রোনাল্ডোকে মাঠে নামান। দুইবারের বর্ষসেরার উপস্থিতিতে অতিথিদের আক্রমণের ধার কিছুটা বাড়লেও গোলের দেখা মেলেনি। উল্টো ম্যাচের ৭৭ মিনিটে অসাধারণ এক হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন জোশে গিমিনেজ। ফার্নান্ডো টোরেস ১৭ বছর বয়সে ভিসেন্টে ক্যালডেরনে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। আর চলতি জানুয়ারিতে এসি মিলান থেকে ধারের মাধ্যমে আবারও লা রোজিবাঙ্কসে যোগ দিয়েছেন। ফিরেই প্রথম ম্যাচে জয়ের স্বাদ পান তিনি। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত টোরেস বলেছিলেন, আমরা খুব খুশি। কারণ দলের খেলা, ফলাফল ও সঙ্গবদ্ধতা ছিল অসাধারণ। আর এই দিনটি আমরা উদযাপন করতে চাই। এ জয় আমাকে দারুণ স্বাদ দিয়েছে। আর বিশ্বের সেরা কোন দলের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াটা অন্য রকম ব্যাপার। সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১৪ সালের সেরা ক্লাবের মর্যাদা পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। গত বছরজুড়ে অসাধারারণ ধারাবাহিক সাফল্যের কারণেই রিয়ালকে সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি এ্যান্ড স্ট্যাটিকস (আইএফএফএইচএস)। সংস্থাটির জরিপে গত বছরের এক নম্বর দল হয়েছে স্প্যানিশ পরাশক্তিরা। এই জরিপে দ্বিতীয় হয়েছে জার্মান ক্লাব বেয়ার্ন মিউনিখ। এর পরের দুটি স্থানই স্প্যানিশ ক্লাবের। তৃতীয় ও চতুর্থ হয়েছে যথাক্রমে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও বার্সিলোনা। সেরা হওয়ার পথে রিয়াল পেয়েছে ৩৮১ পেয়েন্ট। দ্বিতীয় হওয়া বেয়ার্ন মিউনিখ পেয়েছে ২৭৬ পয়েন্ট। এ্যাটলেটিকোর পয়েন্ট ২৬৭ আর বার্সার পয়েন্ট ২৫১। গত বছর মোট চারটি শিরোপা জয় করে রিয়াল। এগুলো হলোÑ কোপা ডেল রে, উয়েফা সুপার কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ।
×