ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দিলশানের শতকে সমতা শ্রীলঙ্কার

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৬ জানুয়ারি ২০১৫

দিলশানের শতকে সমতা শ্রীলঙ্কার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দু’দলের ইনিংসেই একটি করে শতক আছে। একই পজিশনে নেমে নিউজিল্যান্ডের হয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম এবং ওই দুই নম্বরে নেমেই শ্রীলঙ্কার তিলকারতেœ দিলশান শতক হাঁকিয়েছেন। তবে হ্যামিল্টনের সেন্ডন পার্কে ম্যাককুলামের সেঞ্চুরি বিফলে গেছে। আর দিলশানের ১২৭ বলে ১৭ চারে করা ১১৬ রান জিতিয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে। সাত ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ১-১ সমতা এনেছে লঙ্কানরা। প্রথম ওয়ানডেতে কিউইরা জিতেছিল ৩ উইকেটে। শনিবার অকল্যান্ডে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় তৃতীয় ওয়ানডে। হ্যামিল্টনে দিবারাত্রির ম্যাচটিতে বৃহস্পতিবার টস জিতে নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নামে। শুরুটা বেশ ভালভাবেই করেছিল তারা। ম্যাককুলাম একপ্রান্ত থেকে শ্রীলঙ্কার বোলারদের ওপর বেশ কড়া শাসন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আর অপরপ্রান্তে মার্টিন গাপটিল বেশ ধীরেসুস্থে খেলছিলেন। তবে গাপটিল (১০) ও টম লাথাম (৫) বেশ দ্রুতই ফিরে যান। স্পিনারদের দাপটে শুরু থেকেই বেশ সমস্যায় পড়েছেন কিউই টপঅর্ডাররা। তবে ম্যাককুলাম ছিলেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বেশ সাবলীল। তৃতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ রস টেলরের সঙ্গে ৮৫ রানের জুুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন ম্যাককুলাম। এর পাশাপাশি উইকেটের চারপাশে স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক মেজাজে তা-ব চালিয়ে রানের গতিটাও ঠিক রাখেন কিউই অধিনায়ক। কিন্তু ভয়ঙ্কর ম্যাককুলামকে সাজঘরে ফিরিয়ে লঙ্কান শিবিরে স্বস্তি আনেন অজন্তা মেন্ডিস। এর আগেই ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ম্যাককুলাম মাত্র ৯৯ বলে ১২ চার ও ৫ ছক্কায় ১১৭ রান করেন। তাঁর বিদায়ের পর লঙ্কান স্পিনারদের সামনে যেন পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। টেলর ৬৯ বলে ২ চারে ৩৪ করার পর আউট হয়ে যান। এরপর আর কোন কিউই ব্যাটসম্যান বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। তাছাড়া নিজেদের ভুলেও সংগ্রহ বড় করতে পারেনি তারা। সবমিলিয়ে চার মিডলঅর্ডার রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। শেষদিকে ম্যাট হেনরির অপরাজিত ২০ রান করেন। এরপরও নিউজিল্যান্ড ইনিংস শেষ হয় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪৮ রানেই। অভিজ্ঞ রঙ্গনা হেরাথ ও সচিত্র সেনানায়েকে দুটি করে এবং অজন্তা মেন্ডিস একটি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে দারুণ শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৪ রান যোগ করেন দিলশান ও দিমুথ করুনারতেœ। দিলশান বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং চালিয়ে গেলেও করুনারতেœ বেশিদূর এগোতে পারেননি। ৩৮ বলে ৩ চারে ২১ রান করার পরই ফিরে যান তিনি নাথান ম্যাককুলামের স্পিনে এলবিডব্লিউ হয়ে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ কুমার সাঙ্গাকারা এসে কিছুটা আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন। তিনি ৪১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করে ফিরে যাওয়ার আগেই দ্বিতীয় উইকেটে যোগ হয়েছে ৫২ রান। অনেকটাই সুস্থির ও শান্ত ছিলেন দিলশান। আরেক অভিজ্ঞ মাহেলা জয়াবর্ধনে উইকেটে এসে বলে-বলে রান করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ২৯ বলে ২৭ করার পর তাঁকেও থামিয়ে দেন হেনরি। কিন্তু দিলশান নতি স্বীকার করেননি। ৩৮ বছর বয়সী এ ডানহাতি ক্যারিয়ারের ১৯তম শতক হাঁকান। তিনি ১১৬ রানে ফিরে যাওয়ার সময় দল আর মাত্র ১২ রান দূরে ছিল জয় থেকে। চতুর্থ উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তিনি অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের সঙ্গে। ম্যাথুস ৪৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ী করেই মাঠ ছাড়েন। ৪৭.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঠাঁই না পাওয়া পেসার হেনরি দারুণ বোলিং করে নেন দুই উইকেট। ৬ উইকেটের এ জয়ে ৭ ম্যাচের দীর্ঘ এ ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা আনল সফরকারী লঙ্কানরা।
×