ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটা সড়কের সীলকোট উপড়ে ফেলায় তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

কুয়াকাটা সড়কের সীলকোট উপড়ে ফেলায় তোলপাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৬ জানুয়ারি ॥ কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাখিমারায় দুটি স্পটে প্রায় এক শ’ ফুট সীলকোট উপড়ে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় রোলার দিয়ে সীলকোট উপড়ে ফেলার খবরে থানা পুলিশ গিয়ে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ করে দেয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দি-রুপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের রোলার চালক মোঃ টোকন শুক্রবার সকালে ১০/১২ লেবার নিয়ে সড়কটির ওই স্পটের (২৪তম অংশে) সীলকোট উপড়ে ফেলতে থকে। থানা পুলিশ গিয়ে রাস্তা খোঁড়ার কাজ বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সওজ প্রকৌশলীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। সড়ক বিভাগের কুয়াকাটার উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর অভিযোগ, তাদের না জানিয়ে কিংবা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াই পর্যটন এলাকার সহাসড়ক খোঁড়ার ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাস্তাটি খুঁড়ে কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য এসব করছিল বলেও তাদের এন্তার অভিযোগ। সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী পান্না মিয়া জানান, সড়কটির রেকটিফিকেশনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন নির্দেশনা কিংবা দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। হঠাৎ সীলকোট তুলে চলাচলের অনুপযোগী করা হচ্ছিল। সওজের দাবি, ২০১০ সালে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করে দি-রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ কাজের জন্য তাদের বিল আটকে দেয়া হয়। টোকন জানান, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রাশেদুর রহমানের নির্দেশে তিনি রাস্তাটির সীলকোট তুলছিলেন। রাশেদুর রহমান জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও টেকনিক্যাল কমিটির নির্দেশনায় সড়কটির রেকটিফিকেশন কাজ শুরু করেন। তিনি এও জানান, আগে কাজটি করতে প্রচুর টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। ওই কর্মকর্তারা বদলি হয়ে গেছে। বর্তমানে রেকটিফিকেশন কাজ করতে তার কাছে কুয়াকাটাস্থ উপবিভাগীয় প্রকৌশলীসহ তার সহকর্মীরা দশ লাখ টাকা চেয়েছে। না দেয়ায় তাকে কাজে বাধা দেয়া হয়েছে। ফরিদ উদ্দিন জানান, রেকটিফিকেশন কাজ করা ঠিকাদারের উদ্দেশ্য নয়। করলে সাইটে মালামাল নেয়া হতো। এখন রাস্তা খুঁড়ে রাখলে কুয়াকাটায় সঙ্গে যোগাযোগে সমস্যা হবে। দশ লাখ টাকা চাওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সড়ক ও জনপথ পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, ভিআইপি সড়কটির রেকটিফিকেশন কাজের কোন নির্দেশনা তাকে দেয়া হয়নি। কলাপাড়া থানার ওসি মোহাঃ আজিজুর রহমান জানান, আপাতত কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উভয়পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। নাশকতা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
×