ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সব লাইন একসঙ্গে

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

সব লাইন একসঙ্গে

নাগরিক সুবিধাকে আরও বিস্তৃত করতে কমন ইউটিলিটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মেট্রোপলিটন সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই কমন টানেল নির্মাণ হলে নাগরিকদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে। নাগরিক জীবনে দেখা মিলবে স্বস্তি। সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এমন আশা জাগানিয়া এক সংবাদ। জানা যায় পানি, বিদ্যুত, গ্যাস, টেলিফোন, ফাইবার অপটিক, কেবল টিভিসহ সেবা সংস্থার সকল লাইনকে একটি লেনে আনতে এবার রাজধানীতে শুরু হতে যাচ্ছে কমন ইউটিলিটি টানেল (ডাকটাইল লেন) নির্মাণের কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে এই টানেলের নক্সা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা টানেলের পৃথক দুটি নক্সাও প্রস্তুত করেছে। জানা যায়, বিশ্বজুড়ে নগরবাসীর সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা প্রদানে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নাগরিক সুবিধা প্রদান করা হলে নাগরিকদের জীবন ও স্বাস্থ্যেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে নগর পরিকল্পনাবিদরা নগর পরিকল্পনায় নাগরিক সেবার সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকার চেষ্টা করেন। আধুনিক নগর পরিকল্পনায় নাগরিকদের ভোগান্তি যেমন কমে তেমনি তা অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখে। কমন টানেল নির্মাণ করা গেলে বছরে সরকারের সাশ্রয় হবে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, এই কমন টানেল নির্মাণের ফলে নগরীর সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। এতে পর্যটন বাণিজ্যের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। কমন টানেল নির্মাণ হলে নগরবাসীকে বছরজুড়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জন্য ভোগান্তি পোহাতে হবে না। বছরজুড়ে বিভিন্ন সংস্থার বেহিসেবী রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির নামে জনজীবনে এক দুঃসহ ভোগান্তি নিয়ে আসে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার এই সমন্বয়হীন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ সব খোঁড়াখুঁড়ির অবসানকল্পে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা এই সিদ্ধান্ত নেন। নগর পরিকল্পনাবিদদের সুচিন্তিত নক্সায় কমন টানেল নির্মাণ হলে রাজধানী ঢাকা পাবে উন্নত দেশের রাজধানীর সমক্ষমতা। কমন টানেল পদ্ধতি অনুসৃত হলে জনভোগান্তি কমবে, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। একটি পরিকল্পিত নগরীর জন্য এই কমন টানেল খুবই জরুরী। পৃথিবী স্বীকৃত এই সত্যটি তিলোত্তমা ঢাকার জন্য সত্য হতে যাচ্ছে। এতে দুই কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
×