ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাফুফে লটারির বর্ণাঢ্য র‌্যালি

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

বাফুফে লটারির বর্ণাঢ্য র‌্যালি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফোঁটা ফোঁটা জল দিয়ে যেমন সাগর গঠিত হয়, তেমনি একটি একটি করে টিকেট কিনলে তার অর্থ দিয়ে গঠিত হতে পারে বাংলাদেশের ফুটবলের সুনীল ভবিষ্যত। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) উদীয়মান ও প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড় সৃষ্টিসহ ফুটবলের পুনর্জাগরণ এবং ফুটবলের মান উন্নয়নের জন্য বাফুফে ঘোষিত ‘ভিশন ২০২২’ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় ‘বাফুফে লটারি ২০১৪’ আয়োজনের জন্য অনুমতি দিয়েছে। বাফুফে লটারির টিকেট বিক্রয় করে যে অর্থ সংগ্রহ করা হবে তা শুধু দেশের ফুটবলের উন্নয়নের ব্যয় করা হবে। ফুটবলের পুনর্জাগরণ ও দেশের ফুটবলের উন্নয়নের লক্ষ্যে লটারির মাধ্যমে বাফুফে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই লটারি টিকেট আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রয় কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে গত নবেম্বরে মতিঝিলে অবস্থিত বাফুফে ভবনের কনফারেন্স রুমে লটারি টিকেট বিক্রয় কার্যক্রমের এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। প্রথম পর্যায়ে লটারির ড্র অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪, পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার চূড়ান্ত ড্র-এর তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেন ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। শনিবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন ও র‌্যালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাফুফে লটারি ২০১৪-এর র‌্যালির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। আরও উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায়, সদস্য শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান, বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক ও বর্তমান জাতীয় দলের কৃতী ফুটবলারÑ বিপ্লব, আলফাজ, জাকির, অমিত, নিজাম, হোসেন, জালাল; কণ্ঠশিল্পী মুহিন ও পারভেজ এবং লটারি পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আলম কবির; বাফুফে লটারি ২০১৪-এর টিভি পার্টনার ৭১-এর প্রতিনিধি, রেডিও পার্টনার রেডিও টু-ডের প্রতিনিধি ও হসপিটালিটি পার্টনার হেলভেসিয়ার প্রতিনিধি। বাংলাদেশে এই প্রথম বাফুফে লটারির ড্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সরাসরি ৭১ টিভি ও রেডিও টু-ডে এর মাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে। ড্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাইজবন্ড শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত টিম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সবাইকে ৫টি করে লটারির টিকেট ফ্রি দেয়া হয়। সাবেক ফুটবলার আলফাজ আহমেদ, বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, জাকির হোসেন এবং অমিত খান শুভ্র তাঁদের বক্তব্যে বাফুফের লটারি কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ এবং দেশের ফুটবলের উন্নতি কামনা করেন। সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘লটারি টিকেট বিক্রিতে আমরা দেশব্যাপী আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছি। আশা করি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারব।’ শিল্পী মুহিন খালি গলায় দেশাত্মবোধক গান ‘লক্ষ্য মুক্তিসেনা’ গানটি গান। আরেক শিল্পী পারভেজ বলেন, ‘বাফুফের লটারি টিকেট বিক্রির জন্য আমরা ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।’ লটারির প্রথম পুরস্কার ৩০ লাখ টাকা অথবা ঢাকায় একটি অত্যাধুনিক ফ্ল্যাটবাড়িসহ সর্বমোট অর্ধকোটি টাকার ১১৬৫টি আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে। দ্বিতীয় পুরস্কার ১টিÑ ৫ লাখ টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ১টিÑ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, চতুর্থ পুরস্কার ৬টিÑ১০ হাজার টাকা (প্রতিটি), পঞ্চম পুরস্কার ৬টিÑ ৫ হাজার টাকা (প্রতিটি), ষষ্ঠ পুরস্কার ৫০টিÑ ২ হাজার টাকা (প্রতিটি), সপ্তম পুরস্কার ১০০টিÑ ১ হাজার ৫শ’ টাকা (প্রতিটি), অষ্টম পুরস্কার ১০০০টিÑ ১ হাজার টাকা (প্রতিটি)। যেকোন অপারেটরের মোবাইল ফোন থেকেও বাফুফের ২০ টাকা মূল্যমানের টিকেট এসএমএস-এর মাধ্যমে কেনা যাবে। যে কেউ মোবাইল থেকে ইংরেজীতে বিএফএফ লিখে ১৬৩২৯ নম্বরে পাঠিয়ে টিকেটটি ক্রয় করতে পারবেন। এসএমএস পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে জানা যাবে ক্রয় করা টিকেট নম্বরটি। এছাড়া রবি থেকে *১৪০*৮৩ ডায়াল করেও টিকেট ক্রয় করা যাবে। এজেন্ট, সাব-এজেন্ট, বিক্রয় প্রতিনিধি, হকার ও ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকেও এই টিকেট কেনা যাবে। দাবিকৃত পুরস্কারের টিকেট জমা দেয়া মাত্রই যাচাই বাছাই করে পুরস্কার দেয়া হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান বাফুফের এই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে ॥ প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, জনতা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক; সব উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা ও উপজেলা ভূমি অফিস, জেলা ও উপজেলা এলজিইডি অফিস, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস, সিঙ্গার বাংলাদেশ, এনভয় গ্রুপ, সব জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সব বিভাগীয় ও জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বিমান ও নৌবাহিনী। যে সব প্রতিষ্ঠানের টিকেট বিক্রয়ে সহযোগিতার সম্ভাবনা ॥ সব রেজিস্টার-সাব রেজিস্টার অফিস, পোস্ট অফিস, বেপজা, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো, প্রশিকা, ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক, আকিজ গ্রুপ, পিকেএসএফ এবং বাটা স্যু।
×