ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়িতে জন্মদিন পালন মোহাম্মদ আলীর

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

বাড়িতে জন্মদিন পালন মোহাম্মদ আলীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা ১৮ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ৭ জানুয়ারি বাড়ি ফিরেছিলেন কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলী। তবে আবারও শুক্রবার হাসপাতালে আসতে হয়েছিল। এ জন্য সারাবিশ্বে তাঁর ভক্তকুল আঁতকে উঠেছিলেন। তবে কী ৭৩তম জন্মদিনটা হাসপাতালেই কাটবে আলীর? তবে সবার মনে স্বস্তি এনে দিয়েছেন তিনি ওইদিনই আবার বাড়িতে ফিরে। মূলত চেকআপের জন্যই হাসপাতালে এসেছিলেন এ বক্সিং সম্রাট। শনিবার নিজ বাড়িতেই ৭৩তম জন্মদিনটা পালন করেছেন বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন আর পরিবারবর্গের সঙ্গে। ১৯৮৪ সালে বক্সিং থেকে সরে দাঁড়ান মোহাম্মদ আলী। এর তিন বছর আগেই (১৯৮১) পারকিনসন্স রোগ ধরা পড়েছিল। তবু বক্সিং রিং ছাড়তে পারেননি। ১৯৮৪ থেকেই পারকিনসন্সের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন। আর সে জন্য নানাবিধ রোগ বাসা বাঁধে তাঁর শরীরে। গত বছর সেপ্টেম্বরে তাঁর জন্মস্থান লুইসভিলে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কিছুদিন পরেই শারীরিকভাবে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে গত বছর শেষদিকে তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয় মূত্রনালীতে ইনফেকশনের জন্য। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও জয়ী হলেন আলী। মৃত্যুকে পরাভূত করে ১৮ দিন পরই পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। সে সময় তাঁর পারিবারিক মুখপাত্র বব গানেল দাবি করেছিলেন পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন আলী। তবে এক সপ্তাহ কাটতেই আবার হাসপাতালে ফেরেন শুক্রবার। মূলত পুরনো সেই ইনফেকশনটা কোন পর্যায়ে আছে তা পর্যবেক্ষণ করতেই হাসপাতালে যাওয়া। সেটা শেষ করে সেদিনই আবার বাড়িতে ফিরে গেছেন এ কিংবদন্তি। এ বিষয়ে গানেল বলেন, ‘আলী হাসপাতাল থেকে তাঁর একটি বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এখন তিনি তাঁর ৭৩তম জন্মদিন পালন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আলী এখন সুস্থ অবস্থায় আছেন। ক্যাসিয়াস ক্লে নামে জন্ম নেয়া আলী মাত্র ১৮ বছর বয়সেই লাইটওয়েটে অলিম্পিক স্বর্ণ জয় করে নিজের পরিচয়টা জানিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হন। পরাজিত করেছিলেন সনি লিসটনকে। যা ছিল অনেক বড় বিস্ময় এবং অঘটন। এর কিছুদিন পরই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে তিনি নাম নেন মোহাম্মদ আলী। পরে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আরও আলোচিত হয়ে ওঠেন বিশ্বব্যাপী। ১৯৭১ সালে জো ফ্রেজিয়ারের কাছে পরাজিত হওয়ার আগে টানা ৩১ ফাইটে জিতেছিলেন আলী। আর ওই ম্যাচটাকে এখনও বিশ্ব বক্সিংয়ের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বলে গণ্য করা হয়। ১৯৮১ সালে অবসর নেয়ার আগে চারবার বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। তিন বছর পর পারকিনসন্স রোগ ধরা পড়ে তাঁর। তখন থেকেই বিভিন্ন সময়ে নানা রোগের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন এ বক্সার।
×