ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আহত পুলিশ সদস্যকে দেখতে গেলেন হাসপাতালে

যারা পেট্রোলবোমা মারছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ধরতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫

যারা পেট্রোলবোমা মারছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ধরতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবরোধের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যারা মানুষ খুন করে, পেট্রোল বোমা মারে, অগ্নিসংযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে এবং এদের ধরতে হবে। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করেন, স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক- যাঁরা এই নীতিতে বিশ্বাস করেন তাঁদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রবিবার সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এদিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে পুলিশ বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় আহত পুলিশ কনস্টেবল শামীম মিয়াকে দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বোমাবাজ ও অগ্নিসংযোগকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেন। সচিবালয়ে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি তাদের হাহাকারের আগুনে দেশ জ্বালিয়ে দিতে চান। কারণ তারা সংসদেও নেই, বিরোধীদলেও নেই বলে তাদের মধ্যে হাহাকার। সেই হাহাকার থেকেই তারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে শুরু করে গর্ভবতী মহিলাও রেহাই পাচ্ছে না। তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসররা দেশ ধ্বংস করতে সাম্প্রতিক সব ধরনের সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে দেশ ধ্বংস করতে সংকল্পবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতিকে বাধাগ্রস্ত করার অভিসন্ধি থেকেই তারা এগুলো করছে। বিএনপিকে ‘চিটিংবাজ’ দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশের ভেতর মিথ্যাচার করতে করতে দেশের বাইরেও মিথ্যাচার করছে। এখন বিদেশীরাও পার পাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কংগ্রেসম্যানের নামে বিএনপি প্রচারিত সাম্প্রতিক ভুয়া বিবৃতির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৬ কংগ্রেসম্যানের সই নকল করে একটা বিবৃতি দিয়ে দিল। একটি রাজনৈতিক দল দ্বারা এটা হয়েছে। কিন্তু লজ্জাতো গোটা জাতির। তিনি বলেন, দেশের মানুষ সম্পর্কে তাদের কি ধারণা হলো, বোধহয় এখানে সবাই এরকম চিটিং করে। তাদের আমরা কিভাবে বোঝাব সব মানুষ এরকম চিটিংবাজ না। তিনি বলেন, সব সময় শুনি বিএনপি ভারতবিরোধী। আবার দেখি ভারতের বিজেপি নেতার টেলিফোন নিয়েও চালবাজি। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভাবে মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিএনপি বিদেশী শক্তির সহায়তায় ক্ষমতা জবরদখল বা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। আর এ লক্ষ্যে তারা জনগণকেও ধোঁকা দিতে চায়। তিনি বলেন, দেশে মিথ্যাচারিতায় পারদর্শী হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে এখন তাদের ধোঁকাবাজি সীমানা পেরিয়ে গেছে। দল হিসেবে বিএনপি এ অপকর্ম করছে। কিন্তু তাদের এ ধোঁকাবাজি গোটা জাতির জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি বিজয়ী দেশ। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করে এ জাতি এ মর্যাদা অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বিএনপি বাংলাদেশের এ অগ্রগতি সহ্য করতে পারছে না এবং এ সব অর্জনকে নস্যাত করে দিতে চায়। খালেদা জিয়াকে অবরোধের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা হয়নি। বরং খালেদা জিয়া নিজেই নিজেকে অবরোধবাসিনী করে রেখেছেন। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, উনার বাসা রেখে অফিসে থাকার দরকার কী? উনি নিরাপত্তার কথা বলে চিঠি লিখবেন আবার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ দিলে বলবেন অবরোধ করা হয়েছে। তবে আমরা যাব কোথায়? তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চাহিদামতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা তাঁকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বেগম জিয়া অফিসেই থাকতে চান। প্রতিদিন দলীয় নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করছেন এবং তারা এখান থেকেই আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন নির্দেশ ও নির্দেশনা পাচ্ছেন। আমার প্রশ্ন- যদি সরকার তাঁকে অবরুদ্ধ করে থাকে, তবে কীভাবে প্রতিদিন সেখানে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে? কীভাবে প্রতিদিন বেগম জিয়া তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন এবং তাঁর দলের নেতারা তাঁর সঙ্গে বৈঠক করছেন? বিএনপিকে জনমুখী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি তারা (বিএনপি) মনে করেন ভারতের এরা (বিজেপি) তাদের ক্ষমতায় বসাবে বা কংগ্রেসম্যানরা তাদের ক্ষমতায় বসাবে। আমাদের সরকারকে উৎখাত করিয়ে দেবেÑ এমন চিন্তা করে তবে সেটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমাদের পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে কেন? জনগণমুখী হতে হবে। জনগণের শক্তিতে বলিয়ান হতে হবে। জনগণের সমর্থন আদায় করতে হবে। পরের দিকে মুখ করে থাকলে হবে না। আমরা সেটা চাইও না। দেশকে পিছিয়ে দিতেই অবৈধভাবে বিএনপির জন্ম হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমরা যখন সব ক্ষেত্রে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তখন কিসের আন্দোলন? আমাদের দুর্ভাগ্য যখনই মানুষ একটু সুখের মুখ দেখে তখনই একটা আঘাত আসে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হলে নির্বাচনে আসবে। কিন্তু নির্বাচনে না এসে বিএনপি ভুল করেছে। তারা নির্বাচন বানচাল করতে ধ্বংসাত্মক কর্মকা- করেছে। তবুও নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট না পড়লে একটি কথা ছিল। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্বাচন হলে কি হতো? অগণতান্ত্রিক সরকার আসতো। জরুরী অবস্থা আসত অথবা মার্শাল ল’। আমি জানি না তারা (বিএনপি-জামায়াত) কি এগুলো আনতে চায় কি-না। কিন্তু সারাবিশ্বে এখন আর এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কথিত সুশীল সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের একটি শ্রেণী আছে যাঁরা বিদেশীদের সঙ্গে দহরম মহরম করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। মন্ত্রী হওয়ার কথা চিন্তা করে। কিন্তু তাঁরা জনগণের কাছে যান না। অসাংবিধানিক সরকার আসলে তাঁদের লাভ হয়। তাঁদের পতাকা হয়। কিন্তু দেশের লাভ হয় না। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সকল সামাজিকসূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকা এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার পূর্ণগতিতে এগিয়ে যাওয়ায় বিএনপি নেত্রী কষ্ট পাচ্ছেন। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রোথিত করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রয়েছে অনেক দায়িত্ব। এ মন্ত্রণালয়কে জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আগামী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা এবং মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত গণকবর, সাক্ষ্য, দলিলপত্র এবং স্থানসমূহ সংরক্ষণের পদক্ষেপ নিতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অগ্নিসংযোগ করা ছাড়া বিএনপির আর কোন আন্দোলন নাই। দলটির প্রধান ক্ষমতায় অথবা পার্লামেন্টে না থাকায় গভীর অনুতাপে ভুগছেন। এখন তিনি প্রতিহিংসার আগুনে সারাদেশকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করছেন। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রীর আন্দোলনের অর্থই হচ্ছে মানুষ পুড়িয়ে মারা, বাস-ট্রাকে অগ্নিসংযোগ আর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো। তারা একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। এমনকি এদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বেও বিশ্বাস করে না। তারা এখনও পাকিস্তান প্রীতিতে বিশ্বাসী, যা বাঙালি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, বিএনপি বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় এসেছিল এবং প্রতিবারই তারা দেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাঁর সরকার দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অচিরেই বিশ্বে মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকেই তার সৃজনশীলতাকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে এবং আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের জনগণ উন্নয়ন দেখতে পায়। তিনি বলেন, দেশের জনগণ বিশ্বাস করে কেবলমাত্র আওয়ামী লীগই দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং সরকার জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেতে চেষ্টা চালাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দেশেই যারা এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে সেসব অপরাধীদের বিচার হয়েছে। দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে আমাদের দেশেও এসব অপরাধীদের বিচার হবে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে এ চেতনা ধারণ করতে হবে যে, তাঁরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশপ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে এসব সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি। তিনি বলেন, অন্য দলের দেশপ্রেমের ঘাটতি আছে বলেই তাঁরা দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেও এ বিরোধপূর্ণ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তাঁর সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা তাঁদের জন্য আরও কিছু করতে চাই। এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। অনেক মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি এবং রাজাকারদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তবে আমাদের সরকার সরকার দেশ-বিদেশে প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এবং মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এম এ হান্নান। এ সময় মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কনস্টেবল শামীমকে দেখতে স্কয়ারে প্রধানমন্ত্রী ॥ পুলিশবাসে অবরোধকারীদের নিক্ষিপ্ত পেট্রোল বোমায় আহত পুলিশ কনস্টেবল শামীম মিয়াকে দেখতে রবিবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের কাছে শামীমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তাঁর সুচিকিৎসার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে ডাঃ শাহনাজকে দেখতে যান তিনি। আহত পুলিশ কনস্টেবলকে দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী অবরোধের মধ্যে একের পর এক বোমা হামলা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগে হতাহতের ঘটনায় এসব হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রধান পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, বোমাবাজ ও অগ্নিসংযোগকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে প্রধানমন্ত্রী আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে এ নির্দেশ দেন।
×