ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যুত সংযোগ না দেয়ায় ৩৫ বিঘা জমির আবাদ অনিশ্চয়তায়

প্রকাশিত: ০৩:০৯, ২১ জানুয়ারি ২০১৫

বিদ্যুত সংযোগ না দেয়ায় ৩৫ বিঘা  জমির আবাদ অনিশ্চয়তায়

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ লৌহজংয়ে পল্লী বিদ্যুত সমিতির সিদ্ধান্তে বন্ধ হয়ে রয়েছে ৩৫ বিঘার সেচ প্রকল্প। প্রকল্পের চাষীরা দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও পুরানো সংযোগটি নতুন করে সচল করতে পারছে না। অন্যায়ভাবে তাদের ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বিল। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, উপজেলার কনকসারে জামাল উদ্দিন শেখের ৩৫ বিঘার বোরো সেচ প্রকল্প রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন গ্রহণপূর্বক প্রতিবছর জুন মাসের দিকে সেচ প্রকল্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে নেয়া হয়। বোরো মৌসুমে স্থানভেদে আগস্ট মাস থেকে নবেম্বর মাসের দিকে নিয়মানুযায়ী পুনঃসংযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এ বছর বোরো মৌসুমে জামাল উদ্দিন তাঁর সেচ প্রকল্পের মিটার সংযোগ আনতে গিয়ে পড়েন বিপত্তিতে। পল্লী বিদ্যুত সমিতি তাঁর কাছে অযৌক্তিক ৬০ হাজার টাকা দাবি করছে। কারণ হিসেবে সমিতি বলছে- ট্রান্সফর্মার মেরামতের ক্ষতিপূরণ বাবদ এই টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। অথচ ট্রান্সফর্মারটি যখন নষ্ট হয়েছে, তখন এই গ্রাহকের সংযোগ ছিল না। কিন্তু তাঁকে কেন জরিমানা গুনতে হবে? এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি সমিতি। সেচ প্রকল্পের মালিক জামাল উদ্দিন জানান, যখন ট্রান্সফর্মাটি চুরি হয়েছিল, তখন বর্ষা মৌসুম, সেচ প্রকল্পটি বন্ধ ছিল এবং সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল। যেহেতু ওই সময়ে আমার মিটারে সংযোগ ছিল না, তাহলে কেন আমাকে ওই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রান্সফর্মারের টাকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুত সমিতির লৌহজং জোনের ডিজিএম শেখ মনোয়ার মোর্শেদ জানান, ট্রান্সফর্মাটি নষ্ট হওয়ার সময় তাঁর সংযোগ না থাকলেও সমিতির নিয়ম অনুযায়ী মেরামতের খরচ দাবি করা হয়েছে।
×