ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চেলসিতে আটকে গেল লিভারপুল

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২২ জানুয়ারি ২০১৫

চেলসিতে আটকে গেল লিভারপুল

ইংলিশ লীগ কাপ ফুটবল, স্টামফোর্ড ব্রিজে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মীমাংসা হবে ফাইনালের টিকেট লিভারপুল ১-১ চেলসি স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফাইনালে ওঠার দ্বৈরথ আরও জমে উঠল। কেননা ইংলিশ লীগ কাপ (ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ) ফুটবলের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের লিভারপুল-চেলসি ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অতিথি চেলসির হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন বেলজিয়াম তারকা ইডেন হ্যাজার্ড। স্বাগতিক লিভারপুলের হয়ে দৃষ্টিনন্দন গোল করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড রাহিম স্টার্লিং। প্রথম লেগের এই ম্যাচটি ড্র হওয়ায় এখন দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে কোন দল ফাইনালের টিকেট পাবে। ২৭ জানুয়ারি স্টামফোর্ড ব্রিজে শেষ চারের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ হবে। স্বাগতিক হওয়ায় কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে দ্য ব্লুজরা। এই সেমিফাইনালের বিজয়ী দল আগামী ১ মার্চ লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আরেকটি দল নির্ধারিত হবে টটেনহ্যাম হটস্পার ও শেফিল্ড ইউনাইটেডের মধ্যে আরেক সেমিফাইনালে বিজয়ী দল থেকে। এ্যানফিল্ডে শুরু থেকেই অতিথি চেলসির ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে স্বাগতিক লিভারপুল। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ শাণিয়েও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের দেখা পাচ্ছিল না ব্রেন্ডন রজার্সের দল। উল্টো ম্যাচের ১৮ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল পেয়ে যায় ব্লুজরা। ডি বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় জোশে মরিনহোর দল। স্পট কিক থেকে চেলসিকে এগিয়ে নেন ইডেন হ্যাজার্ড। গোল হজমের পর আক্রমণের ধার আরও বেড়ে যায় জেরার্ড, লুকাস, স্টার্লিংদের। লিভারপুলের অনেক প্রচেষ্টা অসাধারণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন চেলসির বেলজিক গোলরক্ষক থিবো করটোয়া। এই সময় দ্য রেডস অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ডে একটি শট লাগে গোলপোস্টে। বিরতির পর ৫৯ মিনিটে সমতা ফেরায় লিভারপুল। একক প্রচেষ্টায় গোল করে রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে সমতায় ফেরান রাহিম স্টার্লিং। চেলসির সীমানা থেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে প্রতিপক্ষের দুই জনকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে করটোয়াকে পরাস্ত করেন ইংল্যান্ডের এই ফরোয়ার্ড। সমতা ফেরানোর পর মুহুমুর্হু আক্রমণ শাণিয়েও আর গোলের দেখা পায় রেডসরা। ফলে ১-১ গোলে সমতা নিয়েই ঘরের মাঠে ম্যাচ শেষ করতে হয় লিভারপুলকে। ম্যাচে স্বাগতিকদের বলের দখল ছিল ৬২ শতাংশ। আর চেলসির ছিল মাত্র ৩৮ শতাংশ। লিভারপুল মোট ১৯ বার গোলপ্রেচাষ্টা করে। এর মধ্যে গোলমুখে ছিল ৬ শট। পক্ষান্তরে চেলসি মাত্র দুইবার গোলের প্রচেষ্টা করতে পারে। এর মধ্যে একটি সুযোগ পেয়েই গোল পায় তারা। দ্য রেডসরা ৭টি কর্নার পেলেও ব্লুজরা পায়নি একটি কর্নারও। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে হতাশা ব্যক্ত করেন লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্স। তিনি বলেন, ফাইনালে যেতে এই ম্যাচটি জয়ের প্রয়োজন ছিল আমাদের। আমরা ম্যাচে একতরফা খেলেছি। কিন্তু গোলের সুযোগ কাজ লাগাতে পারিনি। বড় ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে মাশুল দিতে হয়। স্টামফোর্ড ব্রিজে জয় পাওয়াটা সহজ হবে না। অন্যদিকে চেলসি কোচ জোশে মরিনহো ড্র করেই সন্তুষ্ট। কেননা পরের লেগের ম্যাচটি তার দল খেলবে নিজেদের মাঠে। পর্তুগীজ এই কোচ ম্যাচ শেষে বলেন, এই ড্রতে আমি দুঃখিত নই। হার এড়ানো গেছে এটাই সুখের। এ্যাওয়ে ম্যাচে এক গোল আমাদের অনেক এগিয়ে রাখবে। তবে নিজেদের মাঠে খেললেও আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন না স্পেশাল ওয়ান। বলেন, আমি এখনও নিজেদের ফেবারিট ভাবছি না। সেমিফাইনালের দুই লেগের মাত্র একটি হয়েছে। পরের ম্যাচটি নিয়ে আমরা এখন ভাবছি। লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্সের বিরুদ্ধে এই নিয়ে টানা চার ম্যাচ অপরাজিত থাকলেন মরিনহো। আর দ্য রেডসদের বিরুদ্ধে সর্বশেষ আট ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরেছে দ্য ব্লুজরা। এসব পরিসংখ্যানই পরের লেগে চেলসিকে অনুপ্রাণিত করবে বলে বিশ্বাস দলটির ভক্ত-সমর্থকদের।
×