ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি জামায়াত জঙ্গী জোট- ওদের সঙ্গে কোন সংলাপ নয়

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২২ জানুয়ারি ২০১৫

বিএনপি জামায়াত জঙ্গী জোট- ওদের সঙ্গে কোন সংলাপ নয়

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিএনপি-জামায়াতকে ‘জঙ্গী-খুনী-সন্ত্রাসীদের দল’ আখ্যায়িত করে তাদের সঙ্গে কোন ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন ১৪ দলের সিনিয়র নেতারা। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশলের কাছে খালেদা জিয়া আগেও পরাজিত হয়েছেন, এবারও হয়েছেন, আগামীতেও হবেন। খালেদা জিয়া যতই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করুক কোন লাভ হবে না। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে তাঁর সকল ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস পরাজিত হবে। খালেদা জিয়াকে এখনও রাজনীতি শিখতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় চৌদ্দ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই খালেদা জিয়া পরিকল্পিতভাবে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন। পরিকল্পিতভাবে অশান্তি সৃষ্টি ও বোমাবাজি করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছেন। আগেও খালেদা জিয়া পরাজিত হয়েছেন, এবারও হবেন। বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে কেন্দ্রীয় চৌদ্দ দলের শান্তি র‌্যালিপূর্ব বিশাল সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের দেশবিরোধী চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চোরাগোপ্তা বোমা হামলা, জঙ্গী নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই শান্তি র‌্যালির আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের শাহে আলম মুরাদ, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ অসিত বরণ রায় প্রমুখ। দেশে সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির জন্য খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের জন্য অচিরেই দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি তুলতে পারে মন্তব্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশের কোথাও অবরোধ-হরতাল পালিত হচ্ছে না। কোথাও হরতালের চিহ্নও নেই। হরতাল ডেকে খালেদা জিয়া গুলশানে শুয়ে আছেন। আর তাঁর নেতাকর্মীরা গর্তের মধ্যে চলে গেছে। দেশের কোথাও এখন বাটিচালান দিয়েও বিএনপির নেতাকর্মীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষ আন্দোলন করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। আর খালেদা জিয়া আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সন্ত্রাসীদের নিয়ে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে বেগম জিয়ার উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৯ এর একদিন আগেও এদেশে কোন সংসদ নির্বাচন হবে না। ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন হবে। আপনারা সে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে খালেদা জিয়া আপনি ভুল করেছেন। আপনাদের ভুলের খেসারত জনগণ কেন দিবে? খুনীদের সঙ্গে কোন সংলাপ হতে পারে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিম-লীর সদস্য বলেন, যারা আমার মা-ভাই-বোনদের বোমা মেরে হত্যা করছে, তাদের সঙ্গে কোন ধরনের সংলাপ হতে পারে না। যাদের হাতে রক্তের দাগ তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ হবে? খুনীদের সঙ্গে কোন সংলাপ হতে পারে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নিজ কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ থেকে আরাম আয়েশ করছেন। আর বাইরে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন। তাই খালেদা জিয়াকে বলি অবরোধের নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা বন্ধ করুন। বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতি প্রতিরোধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গী লালনকারী সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে কোন আলোচনা বা সংলাপের সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ারা ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী ব্যর্থ হয়েছিল, এবারও ব্যর্থ হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে খালেদা জিয়া বারবার পরাজিত হবেন। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর শুরু করেছেন; স্বপ্নের পদ্মা সেতু যখন বাস্তব হয়ে উঠছে তখন খালেদা জিয়ার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া এখন জঙ্গীবাদের আশ্রয়দাতা মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থী কাজে লিপ্ত রয়েছেন। খালেদা জিয়াকে ব্যর্থ নেত্রী উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ভুল রাজনীতির কারণেই একদিন বিএনপি নিঃশেষ হয়ে যাবে।
×