ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কবিগুরুর ছায়া অবলম্বনে নৃত্যনাট্য ‘ওয়াটারনেস’

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২২ জানুয়ারি ২০১৫

কবিগুরুর ছায়া অবলম্বনে নৃত্যনাট্য ‘ওয়াটারনেস’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জল যেমন কোনকিছু দিয়ে বাঁধা যায় না, তেমনি নারীর ধরা-ছোঁয়া ব্যতিরেকে তাকে কোন কিছুতে আবদ্ধ করা সম্ভব নয়। জল আর নারীর অন্তর্নিহিত সাদৃশ্য নিয়েই রচিত হয়েছে ড্যান্সড্রামা ‘ওয়াটারনেস’। দেশের প্রগতিশীল নৃত্য সংগঠন তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্র্যান্স থিয়েটারের প্রথম এবং ব্যতিক্রমী এ প্রযোজনা। এতে নাচ ও সুরের সঙ্গে মার্শাল আর্টস, আবৃত্তি, তাইচি ও মাইমের সমন্বয় ঘটেছে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় গবেষণাধর্মী এ ড্যান্স থিয়েটার। এতে ব্যবহার করা হয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, কবিতা, চিঠি ও চিত্র। অনেকটা রবীন্দ্রনাথের ছায়া অবলম্বনে এই ড্যান্স থিয়েটারের গল্প সাজানো হয়েছে। গল্পে তাঁর জীবনে প্রভাব ফেলা তিন নারী কাদম্বরী, মৃণালিনী ও ইন্দিরা দেবীর ছায়াও রেখাপাত করেছে। নৃত্যনাট্যটির পা-ুলিপি লিখেছেন কলকাতার ধীমান ভট্টাচার্য। এবং মূল ভাবনা, নকশা, নৃত্যপরিচালনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সংগঠনটির পরিচালক পূজা সেনগুপ্ত। নৃত্যনাট্যটি সম্পন্ন করতে ভারতের কয়েকজন কলাকুশলীরাও অংশ নিয়েছেন। চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক মহম্মদ হান্নানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ॥ চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ মহম্মদ হান্নান। ‘রাই বিনোদিণী’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে ১৯৮৫ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক এই স্বনামধন্য পরিচালকের। তাঁর নির্মিত ২৭টি চলচ্চিত্রই দর্শকের মন কাড়ে। তাঁর শেষ চলচ্চিত্র ‘শিখ-ী কথা’ নির্মাণের মাধ্যমে তিনি অর্জন করেন মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার। প্রথিতযশা এই চলচ্চিত্রকারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনাসভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হয় শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে বুধবার সন্ধ্যায়। স্বপ্নলোক আয়োজিত এ স্মরণসভায় মহম্মদ হানন্ানের স্মৃতিচারণ করেন নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা গাজী রাকায়েত, অভিনেতা আবদুল আজিজ, কবি এএফ আকরাম হোসেন, মহম্মদ হান্নানের মেয়ে নবীনা নাজনিন ও ছেলে মাহমুদ হায়াৎ অর্পণ। সভায় বক্তরা বলেন, বহুগুণে গুণান্বিত মহম্মদ হান্নান। যেমন ছিল তার নাট্য রচনা ও নির্দেশনার গুণ তেমনি ছিল সময়োপযোগী চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষমতা। স্বাধীনচেতা এই মানুষটি হয়ত আমাদের কাছে নেই কিন্তু তাঁর সৃজনশীল কর্মকা-ই তাঁকে অমর করে রাখবে চিরদিন। তাঁর জীবনবোধ ছিল অসাধারণ। তিনি যদি আরও কিছুদিন বেঁচে যেতে পারতেন তাহলে আমরা আরও ভাল ভাল চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পারতাম। তিনি একজন বিশিষ্ট সংগঠকও ছিলেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রথম চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব হয়েছিলেন। অসংখ্য গান ও নাটক লিখেছেন তিনি। তাঁর প্রথম যে চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন তার নাম ‘চরিত্রহীন’। আলোচনা শেষে মহম্মদ হান্নান পরিচালিত এটিএন বাংলায় প্রচারাধীন ধারাবাহিক নাটক ‘আমার চক্ষু নাই’ এর একটি পর্ব। সবশেষে তাঁর নির্মিত ‘বিক্ষোভ’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়। ফিরোজ সাঁই স্মরণ ॥ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মৃতিচারণ ও সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী ফিরোজ সাঁইকে স্মরণ করেছে ফিরোজ সাঁই স্মৃতি সংসদ। বুধবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ফিরোজ সাঁইয়ের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সঙ্গীতশিল্পী আবদুল জব্বার, ফকির আলমগীর, শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সহকারী পরিচালক এনায়েত-এ-মওলা জিন্নাহ। স্মৃতিচারণে বক্তারা বলেন, ‘ফিরোজ সাঁই ছিলেন অসাধারণ গুণী শিল্পী, সত্য ও সুন্দরের পূজক। তার গানের ভেতর সবসময় ছিল আধ্যাত্মিকতা। তার ভেতরও সবসময় বাজত মরমি এস্ত্রাজ। তারা আরও বলেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে বিভিন্ন কোম্পানি কত আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করে, ফিরোজ সাঁইকে আমাদের স্মরণ করতে হয় অনাড়ম্বরভাবে। এখন অনেক শিল্পী পুঁজির দাসত্ব করে।
×