ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘন কুয়াশা আজও থাকবে

প্রকাশিত: ০৭:৩৭, ২২ জানুয়ারি ২০১৫

ঘন কুয়াশা আজও থাকবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বুধবারও শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকে। ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীতে ব্যাহত হয় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আজ বৃহস্পতিবারও দিন ও রাতের তাপমাত্রায় তেমন বেশি পরিবর্তন আসবে না। আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। যশোর, কুষ্টিয়া ও টাঙ্গাইল অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানান, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাস এবং ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস প্রবাহই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণ। তাপমাত্রা হ্রাস এবং ঠা-া বাতাসের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় ওপরে উঠতে পারছে না জলীয় বাস্প। শিশির ভেজা মাটির শুকিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। মাঝে মধ্যে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও উত্তাপ থাকে না। দিনের অধিকাংশ সময় কুয়াশার চাদরে মোড়ানো থাকে আকাশ। এমন অবস্থা জানুয়ারির বাকি দিনগুলোতেও চলতে পারে। নিজস্ব সংবাদদাতা মেহেরপুর থেকে জানান, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে মেহেরপুরবাসী। কুয়াশার কারণে সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ঠা-া বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। দরিদ্র, ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের সীমা নেই। সরকারী সহযোগিতায় শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানিয়েছেন শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষেরা। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আবার বেড়েছে নতুন করে শীতজনিত রোগ। স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে গোটা এলাকা। বেশি কষ্টে আছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখিরাও কষ্টভোগ করছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসের বেগ বেড়ে যায়। বৃদ্ধি পায় শীতের তীব্রতাও। রাত গভীর হওয়ার আগেই শহর অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ দোকানপাট। শীতজিনত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
×