ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গ্লোবাল গো টু থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনডেক্স প্রকাশ

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন থিঙ্ক ট্যাঙ্কে ২৪তম অবস্থানে বিআইডিএস

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৩ জানুয়ারি ২০১৫

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন থিঙ্ক ট্যাঙ্কে ২৪তম অবস্থানে বিআইডিএস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের এক ধাপ উন্নতি হয়েছে। ২০১৪ সালে বিশ্ব ইন্টারন্যাশনাল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ২৪তম অবস্থান লাভ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিস (বিআইডিএস), যা ২০১৩ ও ২০১২ সালের র‌্যাঙ্কিংয়ে ছিল ২৫তম অবস্থানে। এই ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রোকিংস ইনস্টিটিউট আর দ্বিতীয় অবস্থান অধিকার করেছে একই দেশের খাতাম হাউজ নামের একটি সংস্থা এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওভারসিস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট। পাশাপাশি ২০১৪ সালে ৫ ক্যাটাগরিতে অবস্থান পেয়েছে সংস্থাটি। এগুলো হচ্ছেÑ বিশ্বব্যাপী থিঙ্ক ট্যাঙ্ক (ইউএস ব্যতীত) ১০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিআইডিএস ৯৯তম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রধান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক (ইউএস ও নন-ইউএসসহ) বিআইডিএস ৯৭তম অবস্থানে রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে এ রকম থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ১০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিআইডিএস অবস্থান ৩৩তম এবং এশিয়া ও পেসিফিক ক্যাটাগরিতে বিআইডিএসের অবস্থান ১৭তম। এ ক্ষেত্রে দুই ধাপ পিছিয়েছে- ২০১২ ও ২০১৩ সালের র‌্যাঙ্কিংয়ে বিআইডিএস ছিল ১৫ তম স্থানে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এ্যান্ড সিভিল সোসাইটিস প্রোগ্রাম (টিটিসিএসপি), যা ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভিনিয়ার একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাপী বৃহস্পতিবার গ্লোবাল গো টু থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনডেক্স প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিআইডিএস। রাজধানীর আগারগাঁও সংস্থাটির সম্মেলন কক্ষে এ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনডেক্স প্রকাশ করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল মুজেরী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ড. কাজী শাহাবউদ্দিন ও পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আব্দুস সাত্তার ম-ল। ড. মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩৮টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ ক্যাটাগরি নির্ধারণের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে একমাত্র বিআইডিএসই ১০০টির মধ্যে অবস্থান করতে পেরেছে। ড. শামসুল আলম বলেন, গবেষণা কর্মের জন্য বাংলাদেশের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যথেষ্ট অর্থের সরবরাহ রয়েছে। টিভিতে প্রচারিত টকশো আমরা পছন্দ করি বা না করি গণতন্ত্রায়ণের জন্য এটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র জানায়, এই ইনডেক্সটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং সর্বাধিক ব্যবহার করা হয়েছে থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলোর ক্রমস্থান জানার জন্য। রিপোর্টটি বিশ্বের ৮১টি সংস্থায়, ৬২টি শহরে, ৫১টি দেশে প্রকাশ করা হয়েছে। সারা বিশ্বে এই বার্ষিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সূচক শিক্ষাবিদ, পত্রিকা, দাতা এবং নীতি-নির্ধারকরা ব্যবহার করে থাকেন প্রধানত পাবলিক পলিসি রিসার্চ এ থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার জন্য। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এ্যান্ড সিভিল সোসাইটি প্রোগ্রামের (টিটিসিএসপি) লক্ষ্য থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রফাইল এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বজুড়ে সরকার ও সুশীল সমাজের মধ্যে থিঙ্ক ট্যাস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে পাবলিক সচেতনতা বাড়ানো।
×