ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেমন হবেন নতুন সৌদি বাদশাহ

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫

কেমন হবেন নতুন  সৌদি বাদশাহ

একজন সংস্কারপন্থী ও দৃঢ়চেতা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে সৌদি আরবের নতুন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের। এদিক দিয়ে সদ্য পরলোকগত পূর্বসুরি ও তার ভাই আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে তার মিল রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমিত্র হওয়ায় সৌদি আরবের শাসন ক্ষমতায় পালাবদলের দিকে তাই অনেকের রয়েছে কৌতূহলী দৃষ্টি। খবর সিএনএন অনলাইনের। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ ইবনে সউদেও ছেলেদের মধ্যে সালমানই দেশটিতে তেল আবিষ্কারের আগে জন্ম জন্মগ্রহণকারী শেষ সন্তান। তাকে একজন বাস্তববাদী নেতা হিসেবে দেখা হয়। তিনি দেশটির প্রতিরক্ষা ও উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘকাল দায়িত্ব পালন করেছেন। ৭৯ বছর বয়সী সালমানের কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে। তিনি এমন এক সময়ে সৌদি আরবের শাসনভার নিচ্ছেন যখন ইরাক ও সিরিয়ায় চলছে যুদ্ধাবস্থা, ইয়েমেনে হুমকি দিচ্ছে আল কায়েদা; আর ইরানের শিয়া নেতৃত্বের সঙ্গে পুরনো বৈরিতা আছে আগের মতোই। আব্দুল্লাহর অধীনে সৌদি আরব অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে যে সংস্কারের ধারা শুরু হয়েছিল নতুন গন্তব্য ঠিক করার দায়িত্ব এখন বাদশাহ সালমানের হাতে। তাকে রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতাদের দাবি যেমন মেটাতে হবে, তেমনি শক্তিশালী সৌদি গোত্রগুলোকেও সামলাতে হবে। সেই সঙ্গে জানতে হবে ক্রমশ বড় হতে থাকা তরুণ জনগোষ্ঠীর মনের কথাও। ২০০১-০৩ সালে সৌদিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট জর্ডান বলেছেন, ‘রক্ষণশীল ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান দেখানোর পাশাপাশি সমাজকে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সেটা তিনি দেখিয়েছেন।’ ২০০৭ সালের উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তায় বলা হয়েছিল, সৌদি আরবের রক্ষণশীল সমাজ গণতন্ত্র চর্চার জন্য উপযুক্ত নয় বলেই সালমান মনে করেন। তিনি সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পক্ষে। সালমান দীর্ঘ ৫০ বছর রিয়াদের গবর্নর ছিলেন। সৌদি সমাজ বিবর্তনের একটি বড় অংশ তিনি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। ১৯৬৩ সালে তিনি যখন শহরটির গবর্নর হন তখন এর জনসংখ্যা ছিল দুই লাখ এখন ৭০ লাখ। ২০০৩ সালে দুই ভাই সুলতান ও নায়েফের মৃত্যুর পর সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান সালমান। দেশটির সবচেয়ে বড় মিডিয়া হাউসের নিয়ন্ত্রণও তার হাতে রয়েছে। রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গেও তার রয়েছে সুসম্পর্ক। ইসলামের দুই পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনার তত্ত্বাবধানকারী হিসেবে তিনি একই সঙ্গে ধার্মিক এবং তুলনামূলকভাবে বহির্মুখী ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলে পশ্চিমা কূটনীতিকরা মনে করেন।
×