ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫

কুড়িগ্রামে বোরো  চাষ ব্যাহত  হওয়ার শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ কুড়িগ্রাম বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল নিয়ে ভোগান্তিতে সাড়ে ৭শ’ সেচপাম্প মালিক। প্রতিটি সেচপাম্প মালিককে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এ অবস্থায় বিনা কারণে এত টাকা বেশি দিয়ে পুনরায় সংযোগ নিয়ে জমিতে সেচ দেয়া নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। জানা গেছে, সদর উপজেলার কৃষকরা ৭শ’ ৫০টি পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করে আসছিল। প্রতি আমন ও বোরো মৌসুম শেষে আবেদনের মাধ্যমে পাম্পের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। আবার মৌসুমের শুরুতেই সংযোগ ফি দিয়ে সংযোগ চালু করতে হয়। কিন্তু বোরো মৌসুমের শুরুতেই সংযোগ নিতে গেলে চমকে যায় পাম্প মালিকরা। প্রত্যেকের বিদ্যুত বিলে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার ইউনিট পর্যন্ত বেশি দেখিয়ে বিদ্যুত বিলের কাগজ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পাম্প মালিকরা কুড়িগ্রাম বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডে যোগাযোগ করে অতিরিক্ত ইউনিটের বিষয়টি জানতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে বিল পরিশোধ করে সংযোগ নেয়ার কথা বলেন বিদ্যুত বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বাঘডোবারপাড় গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম জানান, আমার পাম্পের মিটার রিডিংয়ে ৬হাজার ৭শ’ ৯২ ইউনিট থাকলেও আমাকে বিল দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৮শ’ ইউনিটের। আমি কাগজ পাওয়ার পর বিদ্যুত অফিসে যোগাযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। প্রায় ৫ হাজার অতিরিক্ত টাকা পুনরায় সংযোগ নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সদরের কৃষ্ণপুর কামারপাড়া গ্রামের সাইফুর রহমান জানান, তার মিটারে অতিরিক্ত প্রায় ৪ হাজার ইউনিট বেশি যোগ করে বিল দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রায় ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে হবে, যা আমাদের মতো কৃষকের পক্ষে সম্ভব না। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলায় সাড়ে ৭শ’ সেচপাম্প দীর্ঘদিন ধরে এনালগ মিটারে চলায় প্রচুর সিস্টেমলস হয়েছে। এ সিস্টেমলস পূরণ করতে অতিরিক্তি ইউনিট যোগ করা হয়েছে। তাছাড়া টাকা তো সরকারের এ্যাকাউন্টেই জমা হচ্ছে। তবে কারও আপত্তি থাকলে বিদ্যুত অফিসে যোগাযোগ করতে পারে।
×