ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মেলায় মুক্তিযুদ্ধনির্ভর বই প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫

মেলায় মুক্তিযুদ্ধনির্ভর বই প্রত্যাশা

২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা দিবসটি পালন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি নিজস্ব প্রাঙ্গণে বইমেলার আয়োজন করে থাকে। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলা একাডেমির বইমেলা নামকরণে পরিচিতি পাবে এবারের বইমেলা। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠে সম্পাদকীয় পাতায় বাংলা একাডেমির বইমেলা বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম আশা করি এবারকার বইমেলায় ভাষা আন্দোলনের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে এবং ভাষা শহীদদের স্মৃতিচারণে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধুর জীবনী, স্বাধীনতা, স্বাধীনতার ঘোষক, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, স্বাধীনতা লাভ, স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, জেলহত্যা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর লেখা বইমেলায় রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী লীগের আত্মকথা, জন্মকাহিনী, সংগ্রাম, পাকিদের বিদায় কাহিনী, বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার বেঁচে থাকা, ক্ষমতায় আসা, শাসন ব্যবস্থা, সংবিধান ও গণতন্ত্র পুনর্জীবিত করা বিষয়গুলোর ওপর লেখা বই মেলায় রেখে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। বাংলা একাডেমি বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজন করে প্রশংসিত। বাংলা একাডেমি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি উপজেলায় বার্ষিক বইমেলার আয়োজন করলে প্রতিটি এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। বইয়ের অপর নাম জ্ঞানভা-ার। বই অমানুষকে মানুষ করতে সাহায্য করে। রাজতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্রকে গণতন্ত্রে পরিণত করে থাকে। বর্তমান সভ্য পৃথিবীতে অস্ত্র অর্থহীন, ক্ষমতা অস্থায়ী, বর্বরতা ক্ষণস্থায়ী, অর্থ-সম্মানের শত্রু। বই এসব কথার অর্থ বুঝতে সাহায্য করে বিশেষ শ্রেণী পেশার মানুষকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অপর নাম বই। বই না থাকলে শিক্ষাব্যবস্থা অর্থহীন। জ্ঞানের সন্ধানে প্রচারিত বইবিহীন বইমেলা অচল, নিরর্থক। বইমেলা যদি হয় ব্যবসার জন্য তাহলে মেলা গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। এর চাহিদা হ্রাস পাবে। ক্রেতাদের উৎসাহ ও আগ্রহ কমে যাবে। হ্রাসকৃত মূল্য তথা নামমাত্র মূল্যে বই বিক্রি করতে হবে মেলায়। মূলত শ্রোতা ও পাঠকদের আগ্রহ বাড়াতে বাংলা একাডেমির বইমেলা। মেছের আলী শ্রীনগর।
×