ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ আসছে

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ আসছে

অর্থনৈতিক রিপোর্ট ॥ দীর্ঘমেয়াদী ঋণের পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদী ঋণও পুনর্গঠনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ৫শ’ কোটি টাকার বেশি অঙ্কের ঋণকে ১৫ বছর মেয়াদে পুনর্গঠন করার সুযোগ দিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নীতিমালার খসড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নরের নেতৃত্বে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের (এসএমটি) বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদে উত্থাপন করা হবে। পর্ষদ অনুমোদন করলে পরিপালন করতে ব্যাংকগুলোর জন্য সার্কুলার জারি করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুনর্গঠন নীতিমালায় বড় অঙ্কের ঋণের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫শ’ কোটি টাকা। এর নিচের অঙ্কের ঋণ এ নীতিমালার আওতায় সুযোগ রাখা হয়নি। ১৫ বছরের জন্য এসব ঋণ পুনর্গঠন করা যাবে। এই নীতিমালার আওতায় বিশেষ সুযোগ নিয়ে নিয়মিত ঋণ শোধ করতে না পারলে প্রচলিত আইনী কাঠামো অনুসরণ করে দেউলিয়া আদালতে মামলা করার বিধান রাখা হয়েছে। প্রথমে ঋণ মঞ্জুর হওয়ার সময় সুদের হার যা নির্ধারণ করা হয়েছিল পুনর্গঠনের সময় তা পরিবর্তন করা যাবে। একই সঙ্গে ঋণের কিস্তি, ঋণ শোধের মেয়াদও পুনর্নির্ধারণ করা যাবে। পুনর্গঠনের নীতিমালার আওতায় শর্তসাপেক্ষে স্বল্পমেয়াদী ঋণকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণে এবং দীর্ঘমেয়াদী ঋণও স্বল্পমেয়াদে পুনর্গঠনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে ঋণ পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের বিধান রাখা হয়েছে। প্রথমে বাণিজ্যিক ব্যাংকের পর্ষদ অনুমোদন করার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠানো হবে। বিচার-বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই নীতিমালার আওতায় একবারই কেবল ঋণ পুনর্গঠন করা যাবে। পুনর্গঠনের পর কোন কারণে কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঋণ আদায়ে দেউলিয়া আদালতে মামলা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে ব্যাংকাররা ইচ্ছে করলে গ্রাহককে টাকা পরিশোধের নোটিস দিয়ে সরাসরিও দেউলিয়া আদালতে মামলা করতে পারবেন।
×