ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে মহাবিপদ

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে মহাবিপদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিএনপি-জামায়াতের চলমান হরতাল-অবরোধে সহিংসতাকে সন্ত্রাসী কর্মকা- আখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আন্দোলনের নামে যা হচ্ছে তা আন্দোলন নয়। এটা প্রতিহিংসাপরায়ণতা, জঘন্য ও অসামাজিক কাজ। স্বাভাবিক চলার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এ কাজ দেশে চলতে দেয়া উচিত নয়। এটাকে দমন না করলে দেশ টিকবে না। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরে চলাফেরা করা বিপজ্জনক হয়ে গেছে। প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। তিনি বলেন, সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে মহাবিপদ হবে। আশা করি, বিরোধীদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। সেই সঙ্গে জঙ্গীবাদ ঠেকাতে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার জোরদারে কাস্টমস বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় কাস্টমস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর গুরুত্ব অপরিসীম। সেখানে বিজিবি, পুলিশ, কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সমন্বয় হলে ট্রেড ফ্যাসিলিটি আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস কখনও সফল হবে না। পাকিস্তানের মতো অকার্যকর রাষ্ট্র করার আন্দোলনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার এ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা সরকার ও ব্যক্তি খাতের যৌথ উদ্যোগ বা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) কাজ করতে আগ্রহী। এ জন্য কাস্টমসে ট্রেড ফ্যাসিলিটি বাড়িয়ে ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, কাস্টমসে পণ্য খালাস দ্রুতকরণ ও পণ্য আমদানি রফতানিতে ব্যবসায়ীদের সিঙ্গেল উইন্ডো দিলে দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ী আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে। অনুষ্ঠানে কাস্টমস আদায়ে সহায়তা ও কাস্টমস প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্টেকহোল্ডার ও শুল্ক প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ ২০ জনকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস ওর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) মেরিট সার্টিফিকেট দেয়া হয়।
×