ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিরোপায় চোখ শারাপোভার

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

শিরোপায় চোখ শারাপোভার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বর্তমান টেনিসের গ্ল্যামারগার্ল হিসেবেই পরিচিত মারিয়া শারাপোভা। টেনিস কোটে যেমন তেমনি তার রূপ-গুণেও মুগ্ধ-বিমোহিত ভক্ত-অনুরাগীরা। ২০০৮ সালে ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। এরপর কেটে গেল প্রায় অর্ধযুগেরও বেশি সময়। কিন্তু মেলবোর্নে আর নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না তিনি। তবে এবার সেই আক্ষেপ ঘুচানোর সুযোগ মাশার সামনে। আজ কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরোতে পারলেই শিরোপা জেতার জন্য দুই ম্যাচ বাকি থাকবে তার সামনে। তবে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা মারিয়া শারাপোভা এখন কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন। এর পেছনে কারণটাও সুস্পষ্ট। প্রতিপক্ষ যে ইউজেনি বাউচার্ড। দুর্দান্ত সময় কাটছে যার। বয়স মাত্র ২০ বছর। অসাধারণ পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে ইতোমধ্যেই টেনিসবোদ্ধাদের নজর কুড়িয়েছেন তিনি। বিশেষ করে গত মৌসুমটা। ২০১৪ সালে সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছে তার র‌্যাকেট। গত মৌসুমে উইম্বল্ডনের ফাইনালে উঠেন তিনি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে উঠার অসমান্য কীর্তি গড়েন কানাডার তরুণ প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়। গত মৌসুমের পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা চলতি মৌসুমেও ধরে রেখেছেন কানাডার তরুণ প্রতিভাবান এই টেনিস তারকা। চলতি বছরের শুরুটা করেছেন হপম্যান কাপ দিয়ে। আর সেখানেই চমক দিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মহড়া হিসেবে খ্যাত হপম্যান কাপে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে দেন ইউজেনি বাউচার্ড। তাই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শেষ আটে মারিয়া শারাপোভাকেও যে হারাতে পারেন তিনি। তা অনেকের কাছেই অনুমিত। তাই শারাপোভাও বেশ সতর্ক। শেষ আটের লড়াইয়ে নামার আগে বাউচার্ড সম্পর্কে রাশিয়ান এই টেনিস তারকা বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে জেনিকে (ইউজেনি) চিনি না। তবে এটা জানি যে টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে সে খুবই শক্তিশালী একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। সে কোটে বেশ আক্রমণাত্মক খেলে। তাই আশা করছি তার বিপক্ষে ম্যাচটা খুবই কঠিন হবে।’ এর আগে মারিয়া শারাপোভার বিপক্ষে তিনবার মুখোমুখি হন ইউজেনি বাউচার্ড। আর শেষ তিন ম্যাচের সবতেই জয় পান শারাপোভা। তাই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সপ্তম বাছাই বাউচার্ডের বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যানে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে থাকবেন মাশা। গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিলেন বাউচার্ড-শারাপোভা। শুধু তাই নয়। মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের আগে ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেন শারাপোভা। যে কারণে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নাম্বার তারকা সেমিফাইনালের টিকেট পেতে বেশ আত্মবিশ্বাসী। গত মৌসুমের চেয়ে এখন ইউজেনি বাউচার্ড আরও বেশি অভিজ্ঞ। ম্যাচের আগেও নিজেকে অধিক পরিপূর্ণ বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে কানাডার এই টেনিস তারকার অভিমত হলো, ‘টেনিস বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে লড়াই করাটা সবসময়ই অসাধারণ।
×