ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অল রাশান সেমিতে প্রতিপক্ষ মাকারোভা

প্রকাশিত: ০৩:৩৩, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

অল রাশান সেমিতে প্রতিপক্ষ মাকারোভা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গতবার চতুর্থ রাউন্ড থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। সেটা পেরিয়ে এবার শেষ আটে পা রেখেছেন রাশিয়ান স্বর্ণকেশী সুন্দরী টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে সৌন্দর্য আর গ্ল্যামারের ঝলক ছিল মঙ্গলবার মেলবোর্ন পার্কে। শারাপোভার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়ানো কানাডার উঠতি তারকা আসরের সপ্তম বাছাই ইউজেনি বাউচার্ডের রূপের আগুনটা কোন অংশেই কম নয়। তবে লড়াইটা সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতার হয়নি। টেনিসের লড়াইয়ে কোর্টে অবশ্য তেমন কোন পাত্তাই পাননি বাউচার্ড। তাকে সরাসরি ৬-৩, ৬-২ সেটে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালে উঠেছেন সুগারপোভা মাশা। শেষ চারে এবার দেখা যাবে অল রাশিয়ান লড়াই। উদীয়মান রাশিয়ান তরুণী একাতেরিনা মাকারোভাও পা রেখেছেন সেমিতে। বিশ্বের দশ নম্বর এ তারকা তিন নম্বর রোমান তারকা সিমোনা হ্যালেপকে সরাসরি ৬-৪, ৬-০ সেটে পর্যবসিত করে অবাক করেছেন সবাইকে। অপর দুই কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আজ। বিশ্বসেরা সেরেনা উইলিয়ামস-ডোমিনিকা সিবুলকোভা এবং ভেনাস উইলিয়ামস-ম্যাডিসন কিস লড়াইয়ে দু’বোন জিতলে অল আমেরিকান সেমিও হবে। ২০০৯ সালে উইম্বল্ডন ফাইনালের পর সেক্ষেত্রে এটিই হবে দু’বোনের মধ্যে আবার কোন গ্র্যান্ডসøাম আসরে মুখোমুখি সাক্ষাত। এবার শুরু থেকেই শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন শারাপোভা। কারণ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিততে পারলে শুধু ২০০৮ সালের পর দ্বিতীয়বার এ শিরোপা জিতবেন বিষয়টা এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং পাশাপাশি তিনি বছরের শুরুতেই অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেরেনাকে হটিয়ে দখল করবেন ডব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৫ গ্র্যান্ডসøাম জিততে পেরেছেন ২৭ বছর বয়সী শারাপোভা। তবে বেশ কয়েকটা বছর একেবারে নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। কারণ, ফর্ম কিছুটা পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইনজুরির কঠিন ধাক্কাও লেগেই ছিল। সাবেক এক নম্বর এ তারকা অবশেষে গত বছর নিজের ছন্দটা খুঁজে পান। দুই বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে নিজের র‌্যাঙ্কিংটা আবার ফিরেও পান তিনি। এবার সুযোগ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দ্বিতীয়বারের মতো জিতে সেরেনার শ্রেষ্ঠত্ব খর্ব করার। সে কারণেই যেন আরও দাপুটে হয়ে উঠেছেন শারাপোভা। সৌন্দর্য আর আকর্ষণীয় চেহারার জন্য তাঁর সঙ্গে বরাবরই তুলনা করা হয় কানাডিয়ান সুন্দরী ২০ বছর বয়সী বাউচার্ডের। কিন্তু মেলবোর্ন পার্ক বাউচার্ডের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখল ম্যাচের প্রথম গেমেই। ব্রেক পয়েন্ট জিতে শুরুতেই উত্তেজনাটা আনলেন শারাপোভা। তবে সেটা বেশিক্ষণ থাকেনি। কারণ ঘুরে দাঁড়ানোর মতো কোন নৈপুণ্য প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছেন বাউচার্ড। শেষ পর্যন্ত প্রথম সেট হেরেছেন ৬-৩ ব্যবধানে। দ্বিতীয় সেটে আরও বিপর্যস্ত ছিলেন বাউচার্ড। এবার তিনি হেরে যান ৬-২ ব্যবধানে। গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের পথে সেমিফাইনালে বাউচার্ডকে ঠিক এভাবেই বিধ্বস্ত করেছিলেন শারাপোভা। এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে রড লেভার এ্যারেনা আরেকবার তার সামনে বাউচার্ডের অসহায়ত্ব দেখা গেল। জয়ের পর শারাপোভা বলেন, ‘প্রথম দুই তিনটি বল সে খুব আক্রমণাত্মক মেজাজ নিয়ে খেলেছে। কিন্তু আমি শুধু আমার মনোযোগটা ধরে রেখেছি। আমি জানতাম সে চেষ্টা করবে যেভাবেই হোক আমাকে পরাস্ত করতে এবং সে কারণেই আক্রমণাত্মক হবে। কিন্তু আমিও প্রথম থেকেই খুব ভালভাবে শুরু করতে পেরেছি। আমার মনে হয় সেটা খুবই ভাল ছিল।’ অপরদিকে পরাজয়ের পর হতাশ বাউচার্ড বলেন, ‘আমি শুরুটাই খুব খারাপ করেছি। আর সে জন্যই পরবর্তীতে যা কিছু হয়েছে সবই বাজে হয়েছে।’ সেমিতে স্বদেশী মাকারোভার সঙ্গে সাক্ষাত হবে শারাপোভার। বিশ্বের দশ নম্বর এ তারকা ডান ঊরুতে বেশ পুরু করে বাঁধা ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলেছেন। কিন্তু এরপরও তার সামনে দাঁড়াতে পারেননি বিশ্বের তিন নম্বর রোমান তারকা হ্যালেপ। হেরেছেন ৬-৪, ৬-০ সেটে। এবার শারাপোভার বিরুদ্ধে লড়াই। জয়ের পর মাকারোভা বলেন, ‘নিজের ওপর আমার বিশ্বাস রাখা জরুরী। সেমি খেলছি সেটা না ভাবার চেষ্টা করব আমি। কখনই ভাবতে চাইব না যে আমি ফাইনাল থেকে এক ধাপ দূরে আছি। অন্য যে কোন ম্যাচের মতোই স্বাভাবিকভাবে খেলার চেষ্টা থাকবে।’
×