ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দায়িত্ব গ্রহণের বছর পূর্তির আগেই বেজিং সফরে যাবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী

চীনকে আশ্বস্ত করতে চান মোদি

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

চীনকে আশ্বস্ত করতে চান মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মে তার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট শি জিং পিংয়ের আমন্ত্রণে চীন সফরে যাবেন। সেজন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস অনলাইনের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য তার চীনা প্রতিপক্ষ ওয়াংয়ির সঙ্গে দেখা করতে ৩১ জানুয়ারি চীন সফরে যাচ্ছেন। তিনি ৩ ফেব্রুয়ারি স্বদেশে ফিরবেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোবাল তার চীনা প্রতিপক্ষ স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে সাক্ষাত করতে মার্চ মাসে চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন। এটি হবে জটিল সীমান্ত বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে ১৮তম বৈঠক। দোবাল সীমান্ত আলোচনায় ভারতের বিশেষ প্রতিনিধিরও দায়িত্ব পালন করছেন। এক উর্ধতন ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, মোদির সফরের তারিখ মার্চ মাসে চূড়ান্ত করা হবে। প্রেসিডেন্ট সি তার নিজ শহর সিয়ানে মোদিকে স্বাগত জানাতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী মোদি বেজিং যাওয়ার আগে নতুন নাযু লা স্থলপথ দিয়ে মানস সবোবর যাত্রা করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছেন। নয়দিল্লীতে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বলেন, নয়াদিল্লী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এর নিরাপত্তাজনিত স্বার্থ রক্ষা করবে, কিন্তু একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে বেজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করবে। মোদি ওবামাকে একথাও বলেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই চীন নীতি অনুসরণ করছে, যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। ভারত যে তৃতীয় পক্ষের হাতে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে চাইবে না এটি তার স্পষ্ট আভাস। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত দূরদৃষ্টির অনেক ধরনের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু উর্ধতন ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন এ দলিলকে চীনের বিরুদ্ধে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের জোট হিসেবে দেখা এক কৌশলগত অপব্যাখ্যা। নয়াদিল্লীর হায়দরাবাদ হাউসে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় ওবামা ও মোদি চীন প্রসঙ্গে কথা বলেন। তখন ভারতীয় নেতা এ মত ব্যক্ত করেন, বেজিংয়ের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের অন্যতম কারণ এবং এর মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু একই সময়ে মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একথাও বলেন, ভারত অর্থনৈতিক, অবকাঠামো উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চীনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করার অপেক্ষায় রয়েছে। এক ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ওবামার সঙ্গে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রতি ভারতসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করেন। মোদি প্রেসিডেন্টকে বলেন, এমন কি যুক্তরাষ্ট্র ও বেজিং নিয়ে নিজস্ব নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে।
×