ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কায়রোর বিশৃঙ্খল রাস্তায় সাইকেল আরোহী ইয়াসমিন

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

কায়রোর বিশৃঙ্খল রাস্তায় সাইকেল আরোহী ইয়াসমিন

ইয়াসমিন মাহমুদ যখন কায়রোর বিশৃঙ্খল রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যান তখন আশপাশের মানুষ অবাক হন। কারণ মিসরের রাজধানী কায়রোতে সাইকেল চালানোর মতো সাহস খুব কম নারীরই আছে। তিনি গত চার বছর ধরে প্রতিদিনই সাইকেল চালিয়ে কাজে যাচ্ছেন। ৩১ বছর বয়সী ইয়াসমিন বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, মিসরের রাস্তায় কোন মেয়ের সাইকেল চালানো সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। তবে সৌদি আরবের মতো কঠোর রক্ষণশীল মুসলিম দেশের চেয়ে মিসরের মেয়েরা বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে। কিন্তু সুন্নি অধ্যুষিত আরব দেশটি এখনও মেয়েদের সাইকেল চালানোকে অনুচিত বলে বিবেচনা করে। অন্য অনেক দেশের মতো কায়রোর যানজটপূর্ণ রাস্তায় সাইকেল চালানো অনিরাপদ বলে মনে করা হয়। শহরে যৌন সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পর মিসরীয় নারীদের সাইকেল চালানো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির বেশিরভাগ সাইকেল আরোহী কর্মজীবী পুরুষ। ইয়াসমিনের পরিবার প্রথমে তার সাইকেল চালানো নিয়ে আপত্তি করেছিল। তবে পরে তার সামর্থ্যের ওপর তারা আস্থা রাখা শুরু করে। হলুদ শোয়েটার, নীল জিন্স ও সাইকেল আকৃতির কানের দুল পরিহিত ইয়াসমিন বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই সাইকেল চালাই। ছুটিতে কোন সমুদ্রসৈকত বা স্পোর্টস ক্লাবে আমি তখন সাইকেল চালাতাম। এটি এখন আমার দৈনন্দিন সহচর। তিনি বলেন, মিসরের রাস্তায় সাইকেল আরোহীদের জন্য আলাদা রাস্তা থাকা উচিত। কারণ মাইক্রোবাসগুলো বেপরোয়ভাবে চালায়। তা খুবই ভয়ের ও ঝুঁকিপূর্ণ। ট্রাফিক বিড়াম্বনা ছাড়াও মৌখিকভাবে যৌন হয়রানি এবং পথচারীদের উপহাসও বড় সমস্যা। তার এখনও মনে আছে, কিভাবে এক তরুণ জোর করে সাইকেলে তার পেছনে বসার চেষ্টা করেছিল। মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, ২০১১ সালে গণঅভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়ে গেছে। তবে এগুলো ইয়াসমিনকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি ‘গো বাইক’ নামে একটি গ্রুপের সদস্য। গ্রুপটি প্রত্যেক শুক্রবার সকালে সাইকেল ভ্রমণের আয়োজন করে। এতে অংশ নেয়া অনেক নারীই ইয়াসমিনের মতো হতে চান। - এএফপি
×