ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এএফসি এশিয়ান কাপ ফুটবলের ফাইনাল আজ

আক্ষেপ ঘোচাবে দ. কোরিয়া না অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শিরোপা?

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৩১ জানুয়ারি ২০১৫

আক্ষেপ ঘোচাবে দ. কোরিয়া না অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শিরোপা?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ৫৫ বছরের আক্ষেপের অবসান ঘটাবে দক্ষিণ কোরিয়া না প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠত্বের পতাকা উড়াবে অস্ট্রেলিয়া? এই প্রশ্নের জবাব মিলবে আজই। কেননা ষোড়শ এএফসি এশিয়ান কাপ ফুটবলের ফাইনাল মহারণে আজ মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়ার দুই পরাশক্তি। সিডনির স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার আকাক্সিক্ষত ম্যাচটি। এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত আসরের প্রথম শিরোপা জিততে মুখিয়ে আছে সকারুরা। তেমনি শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কোরিয়ানরাও। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ১৯৫৬ সালে শুরু হওয়া এশিয়া কাপে দাপট দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ১৯৬০ সালে দ্বিতীয় আসরেও সবার সেরা হয় দেশটি। দু’বারই ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায় কোরিয়ানরা। এরপর গেল ১৩ আসরে শিরোপার দেখা পায়নি বিশ্বকাপে এশিয়ার সবচেয়ে সফল দেশটি। এবার তাই দীর্ঘ ৫৫ বছর পর শিরোপার হাতছানি দক্ষিণ কোরিয়ার। এ লক্ষ্যেই স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে তারা। অপরদিকে এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলেই রানার্সআপ হয় দলটি। চার বছর পর এবার নিজ দেশে অনুষ্ঠিত আসরে শিরোপা জিততে মুখিয়ে আছে সকারুরা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে এখন শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠার অপেক্ষায় টিম কাহিলরা। প্রথমবারের মতো এশিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের জন্য যেন অপেক্ষার তর সইছে না অস্ট্রেলিয়ার! এর আগে গত মঙ্গলবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ২-০ গোলে পরাজিত করে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউক্যাসল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গোল করেন ট্রেন্ট সেইন্সবুরি ও জেসন ডেভিডসন। এই জয়ে আসরের ফাইনালে পৌঁছায় সকারুরা। এর আগে ২০১১ সালের আসরেও ফাইনাল খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জাপানের কাছে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হেরে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবার তাই ঘরের মাঠে শিরোপার জন্য মিশন শুরু করে দলটি। এ লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত কক্ষপথে আছে অসিরা। কাক্সিক্ষত শিরোপা জিততে আর একটি জয় প্রয়োজন অস্ট্রেলিয়ার। সেমিতে ক্ষুধার্ত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের শুরু থেকেই আরব আমিরাতে রক্ষণব্যুহে আক্রমণের ঢেউ বইয়ে দিতে থাকে। ফল পেতেও বেশি বিলম্ব হয়নি। তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। গোল করেন সেইন্সবুরি। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল নিশ্চিত করে দেন ডেভিডসন। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মাইল জেডিনাক বলেছেন, আমরা একটি লক্ষ্য নিয়েই মিশন শুরু করেছি। আর তা হচ্ছে শিরোপা। এখন আমরা সেই কাক্সিক্ষত শিরোপার কাছাকাছি। ফাইনালে জিততে আমরা প্রস্তুত। গত সোমবার ২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়ন ইরাককে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে নাম লেখায় দক্ষিণ কোরিয়া। বিজয়ী দলের হয়ে গোল করেন লি জাং-হিউপ ও কিম ইয়াং-গোন। ১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম ফাইনালে উঠেছে এশিয়ার পরাশক্তিরা। সিডনির স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই ইরাকের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে এশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি বার বিশ্বকাপে খেলা দক্ষিণ কোরিয়া। উলি স্টেলিকের শিষ্যরা মুহুমুর্হু আক্রমণ শাণাতে থাকে ইরাকের রক্ষণভাগে। যার ফলস্বরূপ ২০ মিনিটে প্রথম গোল পায় দলটি। গোল করেন লি জাং। চলমান আসরে এটি তার দ্বিতীয় গোল। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। বিরতির পরও আক্রমণের ধার অব্যাহত রাখে দলটি। ৫০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার জয় নিশ্চিত করেন কিম ইয়াং। দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ উলি স্টেলিক বলেছেন, এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে দীর্ঘদিন শিরোপার দেখা পায়নি। সবাই মুখিয়ে আছে ফাইনালের জন্য। আশা করছি ফাইনালেও আমরা শেষ হাসি হাসতে পারব।
×