ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আরেকটি ইতিহাসের প্রত্যাশা ইনজামামের

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৩১ জানুয়ারি ২০১৫

আরেকটি ইতিহাসের প্রত্যাশা ইনজামামের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একমাত্র অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাঠেই নিজেদের সেরা সাফল্যটা পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ইমরান খানের নেতৃত্বে এখানেই নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপাটি জয় করেছে পাকরা। ২৩ বছর পর আবারও সেই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে শুরু হতে যাচ্ছে একাদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। সেবার দলের গর্বিত সদস্য ছিলেন ইনজামাম-উল-হক। এবারও তিনি আশা করছেন দল আরেকটি ইতিহাস গড়তে সক্ষম হবে এখানে। আর সেই ইতিহাস গড়ার শুরুটা হবে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। এমনটাই প্রত্যাশা সাবেক এ পাক অধিনায়কের। এবার বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলকে নানাবিধ সমস্যা নিয়ে অবতীর্ণ হতে হবে। অভিজ্ঞ পেসার উমর গুলের ফিটনেস সমস্যা থাকায় ঠাঁই হয়নি। নির্ভরযোগ্য অফস্পিনার সাঈদ আজমল অবৈধ বোলিং এ্যাকশনের জন্য আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় ছিটকে গেছেন, মোহাম্মদ হাফিজ দলে থাকলেও বোলিং করতে পারবেন না একই কারণে। এমন একটি দল নিয়েই পাকদের এবার বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে চিরশত্রু ভারতের বিরুদ্ধে এক স্নায়ুক্ষয়ী লড়াই দিয়ে। এ বিষয়ে ইনজামাম বলেন, ‘আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল যদি স্বাভাবিক খেলাটা চালিয়ে যেতে পারে তাহলে তাদেরও ভাল সুযোগ আছে। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে ক্রিকেটারদের মাইন্ড সেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দল যদি মনোবল ধরে রেখে ভয়হীন ক্রিকেট খেলতে পারে তাহলে পাকিস্তানও চমক দেখাতে পারে। আমার সময়ে ভারতকে আমরা প্রায় নিয়মিতই হারাতাম। তবে বিশ্বকাপে কখনও তাদের বিরুদ্ধে আমরা ভাল করতে পারিনি। সেটাই আমার জন্য দারুণ হতাশার স্মৃতি। আমি আশা করি এবার পাকিস্তান দল ভারতকে হারিয়ে শুরু করবে।’ বিশ্বকাপ আমেজ এবং ভারতের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে শুরু। এমন চাপ প্রথম ম্যাচেই কাটিয়ে উঠতে পারলে আরেকটি ইতিহাস রচনা করতেই পারে পাকরা। এমন বিশ্বাস নিয়ে ইনজামাম বলেন, ‘১৯৯২ বিশ্বকাপও হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। প্রথম ম্যাচেই হেরেছিল পাকিস্তান। সবাইকে চমকে দিয়ে শেষ পর্যন্ত আমরাই বিশ্বকাপ জয় করে দেশে ফিরি। ভাগ্য সহায়ক হলে এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। ক্রিকেটারদের উদ্দেশে এতটুকুই বলতে পারি, কোন ম্যাচে হারলেও যেন তারা মনোবল না হারায়। ইতিবাচক মানসিকতাই একটি দলকে অনেক এগিয়ে রাখে।’
×