স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ অবরোধকারীদের হাতে যশোরে একের পর এক বাস ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারছে না। নেয়া হয়নি বাসস্ট্যান্ড ও মহাসড়কগুলোতে পুলিশী টহলের ব্যবস্থা। বরং গভীর রাতে পুলিশ প্রহরায় চলছে জুয়া ওয়ানটেন। ফলে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের প্রবেশদ্বার হলো যশোর। এই জেলার ওপর দিয়ে খুলনা, সাতক্ষীরা এবং বেনাপোলের বাস ট্রাক আসা যাওয়া করে ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গে। ১৮টি রুটের বাস চলাচল করে এই জেলার ওপর দিয়ে। ফলে যশোর জেলা হলো সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধে যশোর শহরে পুড়েছে ৭টি বাস এবং ট্রাক। অবরোধকারীরা এসব বাস ও ট্রাকে আগুন দিয়েছে। এর মধ্যে যশোরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে ৩টি বাস ও ১টি ট্রাকে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। কিন্তু তারা বাসস্ট্যান্ডে টহল দেয় না। খুলনা থেকে যশোর শহরের প্রবেশদ্বার মুড়লী মোড়, সাতক্ষীরা-বেনাপোল থেকে যশোর শহরের প্রবেশদ্বার চাঁচড়া মোড়, যশোর থেকে উত্তরবঙ্গগামী বাস যায় পালবাড়ি মোড় হয়ে। আর খাজুরা বাসস্ট্যান্ড হলো ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে যশোরগামী যানবাহনের প্রধান পয়েন্ট। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে এসব পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে পুলিশ টহল নেই। অথচ অবরোধ শুরু হলে খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৩টি বাস এবং ১টি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে অবরোধকারীরা রাতে। এতে একটি বাসের হেলপার মারা গেছে। শহরের বারান্দিপাড়া, নাজির শংকরপুর এবং যশোর বেনাপোল সড়কের ধোপাখোলা এলাকায় বাকি যানবাহনগুলোতে আগুন দেয়া হয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে যানবাহন চালকরা আশঙ্কার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব সড়কে যানবাহন চালাচ্ছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: