ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন দ. কোরিয়াকে হারিয়ে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন দ. কোরিয়াকে হারিয়ে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এশিয়ান কাপের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। শনিবার রোমাঞ্চকর ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে সকারুরা ২-১ গোলে হারায় দক্ষিণ কোরিয়াকে। ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দারুণ এক গোল করে নিজেদের সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান মেসিমো লুঙ্গো। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিট আর কোন দল গোল করতে না পারলে ট্রফি জয়ের আনন্দে মাতে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের ৯১ মিনিটেই অস্ট্রেলিয়াকে হতাশ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সোন হিউং মিন। এর ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর ১০৫ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ট্রোসি। এর ফলে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের শিরোপা জয়ের উল্লাসে ভাসে সকারুরা। এমন জয়ের ফলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ এ্যাঙ্গে পোস্টেকোগলোউ। এশিয়ান কাপের শিরোপা জেতায় এখন তার বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপেও নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে। আমার জন্য এটা বিশেষ কিছু। আপনি সমগ্র স্টেডিময়ামের দিকে তাকিয়ে দেখুন তারা কেমন আনন্দিত। আজ তারা আনন্দের সঙ্গেই ঘুমাতে পারবে। আশা করি এখন ছেলেরা বিশ্বকাপেও নিজেদের উজার করে দিতে পারবে। এই শিরোপা আমাকে তেমন আত্মবিশ্বাসই জুগাচ্ছে।’ বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন বর্তমান সভাপতি সেপ ব্লাটার। আর প্রার্থী হিসেবে সদস্য দেশগুলোর কাছে ভোটের আবেদন করতে গিয়ে ব্লাটার বলেছেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে এবার তিনি অস্ট্রেলিয়াকে দেখতে চান, বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর আয়োজনের সব ধরনের যোগ্যতা তাদের রয়েছে। ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনে বিডে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কাতার আয়োজকের স্বত্ব লাভ করে। আগামী মে মাসে ফিফার সভাপতি নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন ব্লাটার। আর তা নিশ্চিত করার পরে প্রথমবারের ফিফার সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নিজের কলামে ব্লাটার লিখেছেন, ‘একমাত্র মহাদেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়নি। যদিও ১৯৮১ এবং ১৯৯৩ সালে অনুর্ধ-২০ বিশ্বকাপ এখানে আয়োজিত হয়। তাই ফুটবলের ইতিহাসে এটা একটি দুঃখজনক ঘটনা। কারণ অস্ট্রেলিয়ার মতো সমৃদ্ধ ক্রীড়া ইতিহাস এবং কৃষ্টি বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে। এখানে ফুটবলকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়। দিনে দিনেই এর প্রসার ঘটছে। এটা শুধু মহিলা কিংবা তরুণদের মধ্যেই এখন আর সীমাবদ্ধ নেই। ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক এবং ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিক এখানকার ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আর তাই আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি বিশ্বকাপ আয়োজনের সব যোগ্যতা অস্ট্রেলিয়ার রয়েছে।’ শনিবার শেষ হওয়া এশিয়ান কাপ আয়োজনেও বেশ সফলতা দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ব্লাটার সেই উদাহরণও এখানে উল্লেøখ করেছেন। এবারের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ফিফা এখনও প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ না করলেও আগামী বৃহস্পতিবারের ডেডলাইনের আগে পর্তুগালের সাবেক তারকা খেলোয়াড় লুইস ফিগো প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়া এই তালিকায় আরও দেখা যেতে পারে জর্দানের যুবরাজ আলি বিন আল-হুসেন, হল্যান্ডের মিশেল ভ্যান প্রাগ এবং ফ্রান্সের জেরোম শামপাগনেকে।
×