ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তৃতীয়বারের শৈত্যপ্রবাহ শুরু

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তৃতীয়বারের শৈত্যপ্রবাহ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে তৃতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। আজ রবিবারও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। দেশের কোথাও কোথাও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। শনিবার রাজধানীতে দিনে সূর্য দেখা গেলেও বইতে থাকে ঠা-া বাতাস। উত্তরাঞ্চলে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আজ রবিবার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার কুয়াশা পড়তে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, শ্রীমঙ্গল, যশোর ও কুষ্টিয়ায় ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। গত শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজারে ২৯ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রংপুরে ১৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় যথাক্রমে ২৩ ও ১৭.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শনিবার হঠাৎ করেই দেশের সব ক’টি জেলার তাপমাত্রা অনেক হ্রাস পায়। বিশেষ করে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত শুক্রবারের তুলনায় শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৮.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে ৬.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় যথাক্রমে ২৩.৫ ও ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৮.২ ডিগ্রী, ঈশ্বরদীতে ৮ ডিগ্রী, বগুড়ায় ৯.৫ ডিগ্রী, সৈয়দপুরে ৯.৫ ডিগ্রী, চুয়াডাঙ্গায় ৭.৫ ডিগ্রী, যশোরে ৯ ডিগ্রী, টাঙ্গাইলে ৮.৮ ডিগ্রী, ফরিদপুরে ৯.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অধিকাংশ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করে। স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, কুড়িগ্রাম ও তার পাশপাশের এলাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। বিপর্যস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। ঠা-া বাতাসের কারণে কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, গত এক দিনে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুসহ ২ শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ জয়নাল আবেদীন জিল্লুর জানান, শীতজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় ৮৬ মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ জানান, শীত মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৫ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
×