ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা তীব্র হওয়ায় মার্কিন চিন্তা-ভাবনা

ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র!

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনের রুশসমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা তীব্রতর হওয়ার প্রেক্ষাপটে ন্যাটোর সামরিক অধিনায়ক জেনারেল ফিলিপ এম ব্রিডলাভ এখন কিয়েভের অবরুদ্ধ বাহিনীকে আত্মরক্ষামূলক অস্ত্রশস্ত্র ও সাজ-সরঞ্জাম সরবরাহ করার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। প্রশাসনিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের এক সুসজ্জিত দল দৃশ্যত রণাঙ্গনের নির্দিষ্ট অবস্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আমেরিকান কর্মকর্তারা রবিবার জানান। প্রেসিডেন্ট ওবামা এ ধরনের মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র যোগান দেয়ার ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেননি। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেন বাহিনীর পরপর কয়েকটি লক্ষণীয় বিপর্যয়ের পর ওবামা প্রশাসন সামরিক সাহায্যের প্রশ্নটি পুনর্বিবেচনা করছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন-ই ডেম্পসিও অনুরূপ আলোচনায় মিলিত হবেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল, যিনি শীঘ্রই তাঁর পদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আত্মরক্ষামূলক অস্ত্রশস্ত্র প্রদানকে সমর্থন করেছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসানই রাইস প্রাণঘাতী অস্ত্র সহায়তার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এসেছেন। তবে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত একজন কর্মকর্তা জোর দিয়েছেন যে, মিস রাইস এখন প্রশ্নটি পুনর্বিবেচনা করতে প্রস্তুত আছেন। আত্মরক্ষামূলক অস্ত্রশস্ত্রের সরবরাহ রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে প্ররোচিত করবে- এই আশঙ্কা করে হোয়াইট হাউস এতদিন আমেরিকার সাহায্যকে ‘মারাত্মক নয়’ এমন উপকরণ যেমন শারীরিক বর্ম, নাইট ভিশন গগলস, প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম ও প্রকৌশল সাজ-সরঞ্জাম প্রদানে সীমিত রেখেছে। তবে অর্থনৈতিক অবরোধ রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেনে ভারি অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সদস্যদের প্রেরণে বিরত রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় আত্মরক্ষামূলক অস্ত্রশস্ত্র প্রদানের বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠেছে। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র বার্নাডেট মিহান বলেন, ‘কূটনৈতিক উপায়ে একটি সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টায় আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখলেও আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে আমরা সবসময় অন্যান্য বিকল্পগুলোও মূল্যায়ন করছি।’ সংশ্লিষ্ট কর্মপন্থা প্রশ্নে ব্যাপক বিতর্কে ইন্ধন যোগাতে সোমবার (গতকাল) ৮ জন সাবেক সিনিয়র আমেরিকান কর্মকর্তার একটি স্বতন্ত্র রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার কথা। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি ইউক্রেনে ৩শ’ কোটি ডলারের আত্মরক্ষামূলক অস্ত্রশস্ত্র সাজ-সরঞ্জাম পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। যার মধ্যে আছে সাঁজোয়া যান বিধ্বংসী মিসাইল, গোয়েন্দা ড্রোন, সাঁজোয়া হামভি যান ও রাডার, যা শত্রুপক্ষের রবোর্ট ও কামানের গোলাবর্ষণের অবস্থান নিরূপণ করবে। হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রার্থী তালিকায় শীর্ষে থাকা সাবেক সিনিয়র পেন্টাগন কর্মকর্তা মিশেল এ ফ্লাওয়ার রিপোর্টটি প্রণয়নে অংশ নিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে আছেন শীর্ষ ন্যাটো সামরিক অধিনায়কের দায়িত্বপালনকারী অবসরপ্রাপ্ত এ্যাডমিরাল জেম্স জি, স্টাভ রিডিস এবং ওবামার প্রথম মেয়েদের ন্যাটোতে রাষ্ট্রদূত ইভো ডালভার। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে- ‘নতুন করে কোন বড় সামরিক অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে রাশিয়ার ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধি করতে পাশ্চাত্যকে ইউক্রেনের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে।
×