ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগ কর্মীকে হত্যা ॥ মীরসরাইয়ে মামলায় আসামি ৫৬

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

যুবলীগ কর্মীকে হত্যা ॥ মীরসরাইয়ে মামলায় আসামি ৫৬

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিনকে নির্মমভাবে খুন করে লাশ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ৫৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই মোঃ ফিরোজ। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১২টার পর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোঃ মহিউদ্দিনের বাড়িতে। সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে এবং ঘরসহ পুড়িয়ে দেয়। এ সময় ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ও আহত হয় আরও ৬ জন। মীরসরাইয়ের হাইতকান্দি ইউনিয়নের মহালংকা গ্রামে ঘটে নৃশংসতম বর্বরতা। মোঃ মহিউদ্দিন হাইতকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে ঘরের ভেতর থাকা অপর দুই ভাই টিপু ও ফিরোজ পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেলেও অপর ভাই হারুনুর রশিদকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এরপর হামলাকারীরা ঘরের চার পাশে পেট্রোল ও গানপাউডার ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে যায় সর্বস্ব। ঘরের ভেতর ছাইভস্ম হয়ে যায় নিহত মহিউদ্দিনের দেহ। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরের ভেতরে থাকা ৩টি মোটরসাইকেল। এ সময় আহত হন মহিউদ্দিনের পিতা এতিম আলী ও মা সুফিয়া বেগম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাওসার জানান, নিহতের ছোট ভাই ফিরোজ বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ২৫ জনসহ ৫৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় রবিবার রাতে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এদিকে প্রায় একই সময়ে উক্ত বাড়ির পার্শ¦বর্তী উত্তর বালিয়াদী গ্রামের আব্দুর রহমান চেয়ারম্যান বাড়িতে হামলা করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এ সময় অন্তত অর্ধশত ককটেল ফাটিয়ে বাড়ির চার পাশের টিনের ঘেরা কুপিয়ে তছনছ করে। এক পর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে যুবলীগ কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান রুবেলকে খাটের নিচ থেকে বের করে উপর্যুপরি কোপায়। রুবেল মারা গেছে ভেবে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। নির্বেঘেœ চলে যেতে পেট্রোলবোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীরা। কিন্তু বোমাটি ফাটলেও আগুন ভালভাবে না লাগায় বাড়ির সবাই তা নিভিয়ে ফেলে। এ সময় রুবেলকে বাঁচানোর চেষ্টা করে আহত হয় তার বাবা শাহজাহান, মা হাছিনা, স্ত্রী লীমা সুলতানা ও বোন শারমিন আক্তার মুক্তা। একই সময়ে রাত ১২টায় নিহত যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিনের পার্শ্ববর্তী প্রবাসী আবুল হোসেনের বাড়িতেও অপর একদল হামলা চালিয়ে আমিনুল করিম রুবেল নামের ছাত্রলীগ কর্মীর ঘরের চার পাশে ককটেল ফাটিয়ে, জানালার সকল গ্লাস ভাংচুর করে। সেখানে পাকা ঘরের চার পাশে সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেনি হামলাকারীরা। এ সময় তার মোটরসাইকেল রাখা সিঁড়ি ঘরে একটি বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে।
×