ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় কোটিপতি এমএলএসএসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কলাপাড়ায় কোটিপতি এমএলএসএসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে কোটিপতি বনে যাওয়ার অভিযোগে আলোচিত এমএলএসএস কাম পিয়ন মোতালেব খানের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত মোতালেব খানের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ করেছেন ৪৯ দলিল লেখক ও ওই অফিসের নকলনবিশগণ। ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল দেয়া এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী রেজিস্ট্রার মোঃ আবেদ হোসেন অতি সম্প্রতি তদন্তে করেছেন। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অফিসের কেউ মুখ খোলেননি। তারা কোন রকম মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। অভিযোগে বলা হয়েছে, দলিলপত্র রেজিস্ট্রি হওয়ার পরে দলিলের তফসিলসহ নানাবিধ তথ্য বাইরের লোকজনের কাছে সরবরাহ করেন মোতালেব খান। ১৯৯০, ২০১০ সালে এ অফিসে কর্মরত থেকে মোতালেব খান গুরুতর অনিয়ম আর দুর্নীতি করে কুয়াকাটায় প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ২৭ শতক জমির মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে তিনি কলাপাড়ায় কর্মরত রয়েছেন। মোতালেব খান দাবি করেন, এ অভিযোগ মিথ্যা। এ ব্যাপারে খেপুপাড়া সাব রেজিস্ট্রার বিজয় কৃষ্ণ বসু জানান, তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। লালমনিরহাটে বুদ্ধির জোরে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ রবিবার সন্ধ্যার একটু আগে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার তিনবিঘা করিডোরে বিজিবি ক্যাম্পে দৌড়ে গিয়ে এক স্কুলছাত্রী আশ্রয় নিয়ে পাচারকারীর হাত হতে রক্ষা পেয়েছে। জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর গোতামারী আজিমবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে জেলার কালীগঞ্জ বাজারের বাবুর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই প্রেমের সম্পর্কের টানে শনিবার পাটগ্রামের তিন বিঘা করিডোরে বেড়াতে আসে প্রেমিক যুগল। রবিবার সন্ধ্যার একটু আগে তাকে তিন বিঘা করিডোরের পথে ভারতে পাচার করার সময় ছাত্রীটি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দৌড়ে গিয়ে তিন বিঘা বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। বিনানুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ॥ না’গঞ্জে আট ডাক্তারের বেতন স্থগিত স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন চিকিৎসককে কারণ দর্শাওয়ের নোটিস দিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। সোমবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডাঃ দুলাল চন্দ্র চৌধুরী ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আকস্মিক পরিদর্শন করে বিকেলে এই নোটিস দেন। ২৭ জানুয়ারি আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আকস্মিক পরিদর্শনে গেলে ৮চিকিৎসককে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত দেখতে পান ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক(স্বাস্থ্য) লোকমান উদ্দিন আজাদ। তার নির্দেশের প্রেক্ষিতে পরদিন অনুপস্থিত ৮ চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন। ওই ৮ চিকিৎসকের জানুয়ারি মাসের বেতন স্থগিত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেক চিকিৎসকই থাকেন না। কেউ কেউ সপ্তাহে দু’একদিন এসে দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
×