ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চৌদ্দগ্রামে বোমায় মানুষ হত্যার দায়ে খালেদাকে গ্রেফতার দাবি নৌমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

চৌদ্দগ্রামে বোমায় মানুষ হত্যার দায়ে খালেদাকে গ্রেফতার দাবি নৌমন্ত্রীর

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোলবোমা মেরে সাত জনকে পুড়িয়ে মারার দায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও ও পেট্রোলবোমায় মানুষ হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ। এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, গণআন্দোলনের কথা বলে খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাতেও কুমিল্লায় গাড়িতে পেট্রোল বোমার আগুনে মারা গেছে সাত জন। বাকি ১৬ জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এসব দায় খালেদার। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। খালেদাকে কারারুদ্ধ না করলে দেশের মানুষ ও স্বাধীনতা বাঁচবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খালেদা জিয়াকে ‘গণহত্যার নায়িকা’ উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ’৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যেভাবে বাঙালী জাতির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোটও তেমনি বাঙালী জাতিসত্তা ও স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে গণহত্যা চালাচ্ছে। আর এ গণহত্যার নায়িকা হচ্ছেন খালেদা। খালেদার বিষ দাঁত ভেঙ্গে দেয়া হবে। এমন কর্মসূচি দেয়া হবে, সে পালানোর পথও পাবে না। সমাবেশ থেকে কয়েকটি কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দেশের সকল শ্রেণীর শ্রমিক ও পেশাজীবী মানুষ দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা পর্যন্ত নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাবে। একই দিনে দুপুর একটা এক মিনিটে সড়ক, নৌ ও রেলসহ সকল যানবাহনের হর্ন বাজিয়ে এবং ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এক মিনিট বাঁশি বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংসদ শিরীন আখতার, মুক্তিযোদ্ধা হেলালুজ্জামান, ইসমত কাদির গামা, শ্রমিক নেতা ওসমান আলী, আবদুল কাদির দেওয়ান প্রমুখ। বিভিন্ন শ্রমিক-পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সমাবেশে অংশ নেয়। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
×