নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ৪ ফেব্রুয়ারি ॥ হাতীবান্ধা সীমান্তে ক্ষুদ্র অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য ও আধুনিক অস্ত্র জামায়াত-শিবির ক্যাডার ও উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী সংগ্রহ করার খবর গ্রামের মানুষের মুখে মুখে। বিস্ফোরক দ্রব্যসহ পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে। তারপরেও এ চক্রের মূলহোতারা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে গেছে। এ সীমান্তে রয়েছে জামায়াত শিবির ও উগ্র মৌলবাদী চক্রের শক্তিশালী ঘাঁটি। সীমান্তের গ্রামে সরকারের অপপ্রচারে চলছে পোস্টার, লিফলেটে ছড়াছড়ি।
জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত শিবির ও উগ্র মৌলবাদী চক্রের রয়েছে শক্তিশালী ঘাঁটি। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে জামায়াত-শিবির চক্র এখানে চালিয়েছে নির্মম তা-ব। যা ৭১ সালকে হার মানিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস, ডাকাতিবান্ধার ও গেন্দুগুঁড়ি গ্রামে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে চাউর হচ্ছে জামায়াত শিবির ও উগ্র মৌলবাদী চক্র বিপুল পরিমাণ বোমা বানানোর বিস্ফোরক মজুদ করেছে। সংগ্রহ করেছে আধুনিক ক্ষুদ্রাস্ত্র। গত ২৮ জানুয়ারি নওদাবাস ও গেন্দুগুঁড়ি সড়কের মাঝামাঝি স্থানে বিস্ফোরক দ্রব্য, পেট্রোলবোমা তৈরির সরঞ্জাম বোঝাই ভ্যান জনতা আটক করে। পুলিশ বিস্ফোরক বোঝাই ভ্যানটি তল্লাশি করে। জনতাকে দূরে সরিয়ে দেয়। এ সময় বিস্ফোরক পরিবহনের দায়ে প্রথম অক্ষর “সু” ও “আহে” নামের দুই জন স্থানীয় চোরাচালানীর সঙ্গে জড়িত যুবককে আটক করে। পরে মোটা অর্থের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়। ভ্যানভর্তি মালামালও ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে ও জনতার রোষানল এড়াতে মাত্র একশত পঞ্চাশটি চকলেট বোম উদ্ধার দেখিয়ে হাতীবান্ধা সদর থানায় জিডি করা হয়। হাতীবান্ধা থানায় বিস্ফোরক উদ্ধার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ আনিস জানান, সামান্য একমত পঞ্চাশটি বুড়িমার চকোলেট বোমা পরিত্যক্ত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।
বগুড়ায় হরতালেও যানজট ॥ কৌশলে ব্যবসায়ীদের হুমকি
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বিএনপি- জামায়াতের হরতাল বগুড়ায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। হরতাল অবরোধ থেকে ব্যবসায়ী থেকে শুরু“ করে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। হরতালের তেমন প্রভাব নেই জনজীবনে। বুধবার শহরে দিনের বেলায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। অপর দিকে সাধারণের মনোভাব বুঝতে পেরে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর কৌশল নিয়েছে। বিভিন্নভাবে শহরের কিছু মার্কেট ও ব্যবসায়ীদের দোকান না খোলার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এরপরেও বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট হরতাল অবরোধ ডাকলেও বগুড়ার সড়ক মহাসড়কগুলো পণ্যবাহী যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীবাহী হাল্কা যানবাহন চলাচলে গতিময় হয়ে উঠেছে। শহরে সিএনজি অটোরিক্সা ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল ছাড়াও মহাসড়কে যাত্রীবাহী স্বল্পসংখ্যক বাস চলাচল করেছে। রাতে পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাস চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে এসব বাস ঢাকা ও বিপরীত দিকে একইভাবে চলাচল করছে। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় বাস চলাচল অনেক কম হলেও ট্রাকসহ অন্য যানবাহন এখন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। দিনে বা রাতে বগুড়ার সড়ক মহাসড়কে তাকালে হরতাল অবরোধের কোন চিহ্ন চোখে পড়বে না।