ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রিঙ্গিতের দরপতনে বাংলাদেশীদের আয়ে ভাটা

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রিঙ্গিতের দরপতনে বাংলাদেশীদের আয়ে ভাটা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত কয়েক বছরের মধ্যে মালয়েশিয়ার মুদ্রার মূল্যমান রেকর্ড পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার মূল্যমান কমে যাওয়াই এ হ্রাসের কারণ। আর এর প্রভাবে কমে যাচ্ছে টাকার মানে বাংলাদেশী শ্রমিকদের আয়। দেশটির অন্যতম রফতানি দ্রব্য অশোধিত পেট্রোলিয়ামের চাহিদা কমে যাওয়ায় তাদের অর্থনীতিতে ধস দেখা দিয়েছে। দেশটিতে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৫০ টাকা থেকে দুই দফা হ্রাস পেয়ে ৩৭ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। শেয়ারবাজারেও বড় ধরনের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। পেট্রোলিয়ামের পাশাপাশি আরেকটি উল্লেখযোগ্য দ্রব্য রাবারের বাজারেও নেমেছে ধস। মালয়েশিয়া সরকার এমতাবস্থায় দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ার বাজার ধস থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ড. মাহাথির। মালয়েশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস হলো পেট্রোলিয়াম (শতকরা ৩৯ শতাংশ)। আসিয়ান অঞ্চলের পেট্রোলিয়ামের একমাত্র রফতানিকারক দেশও মালয়েশিয়া। অশোধিত পেট্রোলিয়ামের ব্যারেল প্রতি দাম এখন কমে গিয়ে ৫৭ মার্কিন ডলারের দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ কম।। ডলার বিপরীতে এখন রিঙ্গিতের মূল্য ৩.৬২। গত অর্থবছরেও এর মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ৩.২। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এ মূল্যে আরও ধস নামতে পারে। মালয়েশিয়ার অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা বাংলাদেশের বাজারেও তারতম্য এনেছে। রিঙ্গিতের বিপরীতে টাকার মূল্য ২৬ টাকা থেকে কমে এখন ২১.৫ টাকায় নেমে এসেছে। যার প্রভাব পড়েছে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের আয়ে। তাদের বেতন একই থাকলেও মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের মূল্যমান কমায় তাদের আয়ও কমে যাচ্ছে।
×