ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার স্তূপ, বিক্রি সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার স্তূপ, বিক্রি সঙ্কট

শ,আ,ম হায়দার, পার্বতীপুর ॥ মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে ভূগর্ভের ১২শ’ ফুট নিচ থেকে ৩ শিফটে প্রতিদিন ৩ হাজার ৫শ’ মে.টন শিলা উৎপাদন হচ্ছে। তবে বিক্রি আশানুরূপ না হওয়ায় খনির উপরিভাগে জমে উঠেছে শিলার বিশাল স্তূপ। শিলা রাখার জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত শিলার মজুদ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫শ’ মে.টনের ওপর। সূত্রমতে, কেবল ০-৫ মি.মিটার ডাস্ট প্রতিটন ৫০৩.৭৪টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এগুলো রাস্তা ঢালাই কাজে এলজিইডি ও সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ক্রয় করছে। তবে ৫-২০, ২০-৪০, ৪০-৬০, ৬০-৮০ মি.মি সাইজের শিলা ও ৮০ মি.মি বেল্ডার বিপুল পরিমাণে অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলোর দর প্রতিটন যথাক্রমে ২, ১৫৪, ১৯১৮.৫৪, ১৯১৮.৫৪, ১৬.৮২ ও ৫০৩.৭৪ টাকা। সারাদেশে বছরে পাথরের চাহিদা ৭০-৮০ লাখ মে.টন। সেখানে বছরে মধ্যপাড়ায় উৎপাদিত হয় ১৬-১৭ হাজার মে.টনের মতো। বিদেশ থেকে আমদানি ও লোকাল সোর্স থেকে বাকি চাহিদা মেটাতে হয়। এই হিসাব অনুযায়ী ভারতের চেয়ে মধ্যপাড়ার শিলা গুণগত মানের দিক থেকে উৎকৃষ্ট হওয়ার পরও এই শিলা অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে থাকছে। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সরকারী ও বেসরকারী রোড, হাইওয়ে, রেলওয়েসহ সকল প্রতিষ্ঠানে নির্মাণকাজে মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই অচল অবস্থা দেখা দিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ২২ হাজার রেলপথ ২৮ হাজারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। নতুন রেল লাইন ছাড়াও নির্মিত হবে লুপ লাইন। রেলের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নতুন রেললাইন বসানোর কাজে মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা ব্যবহার করা হবে। রেলওয়ের ওয়াগন পরিমাপ যন্ত্রটি বেশ কিছুদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এটি অল্পদিনের মধ্যে ঠিকঠাক হলেই ট্রেন পথে চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, ঈশ্বরদী ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে শিলা পরিবহন শুরু হবে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে। সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর হার্ড পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য আব্দুল মোনেম কোম্পানি ও চীনা ঠিকাদাররা বোল্ডার নিচ্ছে। পদ্মা সেতুতে নদী শাসনের কাজে বিপুল পরিমাণ বোল্ডার প্রয়োজন হবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোটিয়াম (জেটিসি) মধ্যপাড়া খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বরে ৬ বছরের চুক্তি হওয়ার পর অচল অবস্থা থেকে খনি উৎপাদনমুখী হয়ে উঠেছে। তাদের অধীনে কর্মরত রয়েছে ৫শ’ দেশী ও ৭০ বিদেশী শ্রমিক। যোগাযোগ করলে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবুল বাসার বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন টার্গেট অনুযায়ী খনিতে শিলা উৎপাদন হচ্ছে।
×