ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সেনাবাহিনী-র‌্যাবের মহড়া বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে

ফাইনাল ম্যাচে থাকছে কঠোর নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ফাইনাল ম্যাচে থাকছে কঠোর নিরাপত্তা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এখন দেশের রাজনৈতিক অবস্থাও খুব একটা সুবিধের নয়। কিছু রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট বিভিন্ন নাশকতা-সহিংসতায় দেশের নানা জায়গায় প্রতিদিনই আহত ও নিহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে সম্পদের, লোকসান হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যের। এর মধ্যেই ফিফা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক ফুটবল আসর ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ’ শুরু হয় গত ২৯ জানুয়ারি। শেষ হচ্ছে আজ রবিবার। সংশয় থাকলেও সময় মতো, নির্বিঘেœ ও সুষ্ঠুভাবেই চলেছে আসরের ম্যাচগুলো। এখন শুধু চূড়ান্ত মহারণ শেষ হওয়ার প্রতীক্ষা। ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি থাকবেন টুর্নামেন্টের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। আরও থাকবেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জেলা ফুটবল লীগ কমিটির চেয়ারম্যান মনজুর কাদেরসহ আরও অনেকে। অতিথি, খেলোয়াড় এবং স্টেডিয়াম এবং আশপাশের নিরাপত্তার জন্য নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। ফাইনালের দিন যে সব দর্শক মাঠে ঢুকবেন, তাদের স্টেডিয়ামে ঢোকার আগেই স্টেডিয়ামের বাইরের রাস্তার সব পয়েন্টে ঢুকতেই প্রথম স্তরের নিরাপত্তা বুহ্য পার হতে হবে। যাদের ম্যাচের টিকেট আছে, শুধু তারাই ঢুকতে পারবেন স্টেডিয়াম চত্বরে। এরপর স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখে তাদের আরেকবার তল্লাশি করা হবে। ম্যাচ চলাকালীন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। মাঠে ছোড়া যায় এমন কিছু (যেমন পানির বোতল) নিয়ে দর্শক ঢুকতে পারবেন না। গ্যালারিতে ফিজআপের নির্দিষ্ট কিছু স্টল থাকবে। তবে তারা পানীয় বিক্রয় করার সময় বোতলের ছিপিটি খুলে নিজেদের কাছে রেখে দেবেন। রবিবার সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেট দিয়ে সর্ব সাধারণের গাড়ি প্রবেশ বন্ধ থাকবে। শুধু ভিভিআইপির (আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ) গাড়ি ঢুকতে পারবে। ২ ও ৩ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতে পারবেন ভিআইপি টিকেটধারীরা। ৫, ৬, ৮, ১২, ১৩, ১৪, ১৮, ১৯, ২০ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতে পারবেন টিকেটধারী সাধারণ দর্শকরা। সাংবাদিকরা ১৫ ও কার্ডধারীরা ১৬ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সংসদ সদস্য এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ২১ নম্বর (রেড বক্স এবং হসপিটালিটি বক্স) গেট দিয়ে ঢুকতে পারবেন। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগে গ্যালারির গেটগুলো খুলে দেয়া হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে স্টেডিয়াম মার্কেট বন্ধ রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অবহিতও করেছে বাফুফে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমন্ত্রিত বিদেশী দলগুলোর মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কা দলই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিল বাফুফেকে। তাদের এমন প্রশ্ন করাটাই স্বাভাবিক। পাকিস্তানে খেলতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিল শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল। অতিথি দেশকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার খেসারত আজও দিতে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। ভুক্তভোগী লঙ্কার যে কোন ক্রীড়াদল দেশের বাইরে গেলেই নিরাপত্তার বিষয়টি প্রথমে চলে আসে তাদের ভাবনায়। বাফুফে তাদের আশ্বস্ত করে বলে টুর্নামেন্টে থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। আন্তর্জাতিক এই ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য পুলিশ এবং র‌্যাবের পক্ষ থেকে যথোপযুক্ত নিñিদ্র নিরাপত্তা দেয়া হবে। শুধু তাদেরই নয়, প্রতিটি দলকেই দেয়া হয় ফিফা ও এএফসির বিধান মোতাবেক নিরাপত্তা। টুর্নামেন্ট উপলক্ষে গঠিত সিকিউরিটি এ্যান্ড ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট কমিটি নিরাপত্তা বিধানে ছিল সচেষ্ট। দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান দুই ধরনেরই নিরাপত্তা দেয়া হয়। হোটেল, খেলোয়াড়দের বহনকারী বাস, প্র্যাকটিস ভেন্যু, ম্যাচ ভেন্যুতে ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। পোশাকী নিরাপত্তার পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যাতে কোন দুষ্কৃতকারী কোন প্রকার অঘটন ঘটাতে না পারে।
×