ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা যশোর কুমিল্লায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ঢাকা যশোর কুমিল্লায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাশকতাকারীদের গ্রেফতারে দেশব্যাপী চলমান যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে ঢাকা, যশোর ও কুমিল্লায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা পেশাদার বোমাবাজ। তারা টাকার বিনিময়ে একাধিক যানবাহনে পেট্রোলবোমা মেরে অনেক মানুষকে হত্যা ও দগ্ধ করার সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। অন্যদিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গাড়িতে বোমা মেরে পালানোর সময় এক বোমাবাজকে গুলি চালিয়ে আহত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী যৌথবাহিনীর অভিযানে নাশকতাকারী, তাদের মদদ ও অর্থদাতাসহ দুই শতাধিক গ্রেফতার হয়েছে। রবিবার ভোর চারটার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানাধীন আগারগাঁও ষাট ফুট নতুন রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জসিম উদ্দিন মুন্সী (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। রবিবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে জসিমের লাশ শনাক্ত করেন তার ছোট ভাই আনিসুর রহমান মুন্সী। তার দাবি, জসিম রাজধানীর কাজীপাড়া সিদ্দিকীয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। তাদের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলায়। পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক। নিহত জসিম তিন ভাই চার বোনের মধ্যে ষষ্ঠ ছিল। মাদ্রাসা পড়াকালীন জসিম কোন রাজনৈতিক দল বা নাশকতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল কিনা তা তার জানা নেই। পুলিশ জানায়, নিহত জসিম উদ্দিন পেশাদার বোমাবাজ ছিল। শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজির একাধিক মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন জসিমউদ্দিন। অভিযানের ধারাবাহিকতায় জসিম উদ্দিনকে শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শ্যামলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বোমাবাজ সহযোগীদের গ্রেফতারে আগারগাঁওয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় সহযোগী বোমাবাজরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ হয় জসিম। দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জসিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে যৌথবাহিনীর চলমান অভিযানে শনিবার রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৮ মামলার পলাতক আসামি স্বপন ওরফে কালা স্বপন (৩৭) নিহত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলার সদর কোর্টবাড়ি এলাকা থেকে স্বপন গ্রেফতার হয়। স্বপনকে নিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযানে যায় পুলিশ। ভাটপাড়া এলাকায় গেলে স্বপনের সহযোগীরা পুলিশের ওপর বোমা হামলা ও গুলি চালাতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বপনের মৃত্যু হয়। স্বপনের পিতার নাম কালা মিয়া। বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামে। অন্যদিকে শনিবার রাত তিনটার দিকে যৌথবাহিনীর অভিযানে যশোর শহর থেকে গ্রেফতার হয় হত্যা, ছিনতাই, বোমাবাজি ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলার আসামি রাজু ওরফে ভাইপো রাজু (৩৫)। ভোর পাঁচটার দিকে রাজুকে নিয়ে র‌্যাবের একটি দল যশোর শহরতলীর মড়লিতে যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে ইমাম পেট্রোল পাম্পের পাশে ইটভাঁটিতে অভিযানে যায়। এ সময় রাজুর সহযোগীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা ও গুলি চালায়। রাজু গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে পালাতে দৌড় দেয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজুর মৃত্যু হয়।
×