ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সব সাবস্টেশনে নিরাপত্তা আরও জোরদার

বিদ্যুত কেন্দ্রে জ্বালানি মজুদ দ্বিগুণ করার নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বিদ্যুত কেন্দ্রে জ্বালানি মজুদ দ্বিগুণ করার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুত কেন্দ্রে জ্বালানি মজুদের পরিমাণ দ্বিগুণ করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। রবিবার বিকেলে বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সেচ প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে তরল জ্বালানিনির্ভর উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। এজন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), রেলওয়ে এবং বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) পৃথক বৈঠক করতে বলা হয়েছে। সেচ মৌসুমে বিদ্যুত উৎপাদনে যাতে জ্বালানি সঙ্কট না হয় সে জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে। তরল জ্বালানিনির্ভর কেন্দ্রগুলোতে এখন সর্বোচ্চ এক মাসের জ্বালানি মজুদ থাকে। বিদ্যুত সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পিডিবি চেয়ারম্যান, আরইবি চেয়ারম্যান, সংস্থা প্রধান, বিদ্যুত এবং জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিদ্যুত বিভাগের তরফ থেকে আগামী পহেলা মার্চ থেকে সারকারখানায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রাখার জন্য জ্বালানি বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। যদিও তারা জানিয়েছে, আগামী এপ্রিল থেকে সরকার খানা বন্ধ করতে চায়। বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলের টানা অবরোধ এবং হরতাল চলছে। নাশকতা সৃষ্টি করে বিভিন্ন খাত অকার্যকর করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত জোট। এখনও বিদ্যুত উৎপাদনে এর প্রভাব পড়েনি। তবে সম্প্রতি চট্টগ্রামের আটক জামায়াত-শিবির কর্মীরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে তারা স্থানীয় বিদ্যুত কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল। বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। সন্ত্রাসীদের এমন মনোভাব জানার পর নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সকল সাবস্টেশনেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জামায়াত শিবির গত নির্বাচনের আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরইবির সাবস্টেশনে অগ্নিসংযোগ করেছিল। গ্রীষ্ম এবং সেচ একই সময়ে শুরু হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবার সেচ ও গ্রীষ্ম সামাল দিতে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় অন্তত আট হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রয়োজন যা গত মৌসুমে ছিল সাত হাজার ৩৫৬ মেগাওয়াট। বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মে; তিন মাস সর্বোচ্চ বিদ্যুত চাহিদা থাকে দেশে। এজন্য সকল বিদ্যুত কেন্দ্রকে সর্বোচ্চ ক্ষমতায় উৎপাদন করা হয়। এবার সেচের আগে ২০ হাজার ৫৫৬টি নতুন বিদ্যুত সংযোগ প্রয়োজন হবে। এতে নতুন করে ৮৪ দশমিক ৩৪ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। গত মৌসুমে সেচের চাহিদা ছিল এক হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। এবার সেখানে নতুন চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে আরো ২৪৭ মেগাওয়াট। প্রতি বছর নবেম্বর থেকে সেচের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বিদ্যুত ও জ্বালানি বিভাগ। এটা সেচের চূড়ান্ত প্রন্তুতিমূলক বৈঠক যেখানে উৎপাদন এবং বিতরণ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সেচে বিদ্যুত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত কয়েক বছর থেকেই সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করছে সরকার।
×