স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাবেক ১০০ মিটার স্প্রিন্টের বিশ্বরেকর্ডধারী আসাফা পাওয়েল বোস্টনে ইনডোর গ্রাঁ প্রি এ্যাথলেটিক্স মিটে দ্বিতীয় হয়েছেন। ৬০ মিটারের এ প্রতিযোগিতায় জ্যামাইকান এ স্প্রিন্টারকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেল কিমন্স। কোয়ালিফায়ারে সবচেয়ে ধীরগতির স্প্রিন্টারদের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন এ মার্কিন তারকা। তিনিই ৬.৫১ সেকেন্ড সময় নিয়ে শেষ করেন। পাওয়েল ৬.৫২ সেকেন্ড সময় নিয়ে হন দ্বিতীয়। শুরুতেই দারুণ গতিতে ছিলেন কিমন্স। যার কারণে ৪ী১০০ মিটার রিলেতে বিশ্ব ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন পাওয়েল কিছুটা পিছিয়ে পড়েন। ২০১০ বিশ্ব আসরে রানার্সআপ যুক্তরাষ্ট্রের আরেক স্প্রিন্টার মাইকেল রজার্স ৬.৫৩ সেকেন্ড নিয়ে হয়েছেন তৃতীয়। জয়ের পর কিমন্স বলেন, ‘আমি জানতাম এ মিটে ভালভাবে শেষ করতে পারাটা অনেক বড় ক্ষেত্র তৈরি করবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি চেয়েছিলাম খুব দ্রুতগতিতে শুরু করতে এবং শেষ পর্যন্ত সেটাকে আরও গতিময় করতে।’ ৪ী১০০ মিটার রিলেতে লন্ডনে অলিম্পিক রৌপ্য জিতেছিলেন মার্কিন ইনডোর ও আউটডোর স্প্রিন্ট রানার্সআপ কিমন্স। এরপর তিনি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য মিলরোজ গেমসে অংশ নিয়ে আউটডোর ইভেন্ট শুরু হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেবেন। ২০০৫-০৮ পর্যন্ত বিশ্বরেকর্ডধারী ছিলেন পাওয়েল। পরে আরেক জ্যামাইকান উসাইন বোল্ট নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন এবং এখনও সেটা ধরে রেখেছেন। ২০১৩ সালে নিষিদ্ধ ড্রাগ তার রক্তের নমুনায় শনাক্ত হওয়ার পর নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। গত বছর তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। একই দিনে মহিলাদের ৬০ মিটারে প্রথম হয়েছেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মাইকেলি লি আহইয়ে। তিনি ৭.১৫ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। দুইবারের বিশ্ব লংজাম্প চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের টিয়ান্না বার্তোলেট্টা মাত্র ০.৪ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়। ঘানার ফ্লিংস আয়ুসু আগিয়াপোং ৭.২৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন। ১৫০০ মিটারে ২০০৮ অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের নিক উইলিস জেতেছেন মাইল রানে। তিনি সময় নেন ৩ মিনিট ৫১.৬১ সেকেন্ড। এটি ছিল নিউজিল্যান্ডের পক্ষে রেকর্ড এবং বছরের সেরা টাইমিং। যুক্তরাষ্ট্রের বেন ব্ল্যাঙ্কেনশিপ ৩ মিনিট ৫৩.১৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়। ২০১২ সালে ১৫০০ মিটার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আবদালাতি ইগুইডার ছিলেন আরও পিছিয়ে। তিনি ৩ মিনিট ৫৪.৪১ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হন।